ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র ।
নিজেদের মূল্যবান সময় স্বঘোষিত ভোটপণ্ডিতদের বিশ্লেষণ শুনে নষ্ট করবেন না। জনতার উদ্দেশে বার্তা দিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। এই বার্তা দেওয়ার সময় ‘ভুয়ো সাংবাদিক’ এবং ‘নিজের ঢাক নিজে পেটানো নেতাদের’ও নিশানা করেছেন ভোটকুশলী।
এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘পরের বার যখন নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা এবং রাজনীতির আলোচনা হবে, তখন অকার্যকর কথাবার্তা, ভুয়ো সাংবাদিক, নিজের ঢাক নিজে পেটানো রাজনীতিবিদ এবং সমাজমাধ্যমে স্বঘোষিত ভোটপণ্ডিতদের বিশ্লেষণে আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না।’’
ঘটনাচক্রে, লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার পর বুথফেরত সমীক্ষা বেরোতেই এই মন্তব্য করেছেন ভোটকুশলী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, পিকে এক্স হ্যান্ডলে যা লিখেছেন তার মর্মার্থ— নির্বাচনের আলোচনা সংক্রান্ত যে সব বিশ্লেষণ স্বঘোষিত ভোটপণ্ডিতেরা করেন, তা অর্থহীন। পাশাপাশি, বুথফেরত সমীক্ষার আগেই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যে সকল রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে, সেগুলিকেও পিকে নিশানা করেছেন বলে অনেকে মনে করছেন।
উল্লেখ্য, সাত দফার ভোটপর্বের শেষে প্রায় সব বুথফেরত সমীক্ষারই ইঙ্গিত, এনডিএ শরিকদের নিয়ে তৃতীয় বার কেন্দ্রে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদীর তোলা ‘৪০০ পার’ স্লোগান ছোঁয়া সম্ভব না হলেও লোকসভায় এনডিএ জোট ৩৫০-এর বেশি আসনে জিতবে বলেই দাবি করেছে বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষার হিসাব।
অন্য দিকে, নির্বাচন শেষ হওয়ার অনেক আগেই লোকসভা ভোটে এনডিএ-র নিরঙ্কুশ জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন পিকে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকে বলেছিলেন, ‘‘বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ এ বারের লোকসভা ভোটেও ‘ক্লিন সুইপ’ করবে (নিরঙ্কুশ জয় পাবে)। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি ৩০৩টি আসনে জিতেছিল। এ বারও তাদের প্রাপ্ত আসন তার আশপাশেই থাকবে। এমনকি, ৩০৩ ছাড়িয়েও যেতে পারে।’’ এমন পূর্বাভাসের কারণ কী? পিকের জবাব ছিল, ‘‘মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে, এমন কথা দেশের কোনও প্রান্ত থেকেই শুনিনি।’’