(বাঁ দিকে) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র। —ফাইল চিত্র।
ভোট প্রচারে নেমে অর্ধেক আকাশকে বার্তা দিতে নতুন করে আজ ‘শক্তি’ বিতর্কখুঁচিয়ে তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রবিবার মুম্বইয়ে জনসভায় নরেন্দ্র মোদী ও ‘তাঁর পিছনে থাকা’ ইডি, সিবিআই, বাণিজ্যিক সংস্থার শক্তি-কে আক্রমণ শানানোর কথা বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আর আজ নরেন্দ্র মোদী গত কালের ধাঁচে ফের সেই শক্তিকে আধ্যাত্মিক নারীশক্তি হিসেবে বর্ণনা করে পাল্টা আক্রমণ করলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের সালেমের একটি জনসভায় মোদী বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেস ও রাজ্যের শাসক দল ডিএমকে পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক ভাবে হিন্দু ধর্মকেই আক্রমণ করেন, অন্য কোনও ধর্মের নামে বিরূপ মন্তব্য করেন না।’’ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের মতে, যে ভাবে রাহুলের মন্তব্যের পাল্টা ব্যাখ্যায় যাওয়া প্রয়োজন ছিল, তা করতে পারেনি দল। তার সুযোগ নিচ্ছে বিজেপি।
অনেকেই মনে করছেন, রাহুল গান্ধীর শক্তি-মন্তব্য হিন্দু ধর্মের মেরুকরণের পাশাপাশি মহিলাদের সমর্থন পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বিজেপিকে। রাহুল অশুভ শক্তির আঁতাঁত, কর্পোরেট দুনিয়া, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অশুভ আঁতাঁতকে ওই শক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলেও, গতকাল থেকেই রাজনৈতিক ফায়দা কুড়িয়ে নিতে তৎপর রয়েছেন মোদী। আজ তাই সালেমে প্রধানমন্ত্রীর সভায় প্রতীক হিসেবে ১১ জন আম্মা-কে এনেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। ওই মহিলারা মঞ্চে এলে মোদী তাঁদের হাতজোড় করে নমস্কার করেন।
মোদীর কথায়, ‘‘মুম্বইয়ের সভায় ইন্ডি জোটের নেতারা শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে তাকে ধ্বংস করার কথা বলেছেন। যা হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু বিশ্বাসের উপরে আঘাত। কিন্তু ইতিহাস বলে যারাই শক্তিকে ধ্বংস করতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল ভোটের দিন ওই বিপজ্জনক মতবাদের ইতি ঘটবে তামিলনাড়ুর বুকে।’’ পাশাপাশি রাজ্যের প্রয়াত নেত্রী জে জয়ললিতার সঙ্গে ডিএমকে নেতাদের খারাপ ব্যবহারের প্রসঙ্গ উস্কে দেন মোদী।