PM Narendra Modi

‘ওরা সাম্প্রদায়িক, তাই ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চালু করতে চাইছে’! মোদীর নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’

মোদীর অভিযোগ, বিরোধী জোটের উদ্দেশ্য হল তাদের ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে তফসিলি জাতি-জনজাতি (এসসি-এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসর (ওবিসি) শ্রেণির অধিকার কেড়ে নিয়ে তা মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ ১৩:৫৯
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।

ভোটের প্রচারে ধর্মের জিগির তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগের জেরে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে নোটিস পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। শেষ দফায় ভোটের প্রচারে বিহারের পাটালিপুত্রে গিয়ে মোদী শনিবার উল্টে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুললেন। তিনি বলেন, ‘‘‘ইন্ডির (বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’) নেতারা সাম্প্রদায়িক। তাই ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চালু করতে চাইছেন। ভোটব্যাঙ্কের দাসত্ব করতে গিয়ে ‘মুজরা’ শুরু করেছেন।’’

Advertisement

মোদীর অভিযোগ, বিরোধী জোটের উদ্দেশ্য হল তাদের ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে তফসিলি জাতি-জনজাতি (এসসি-এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসর (ওবিসি) শ্রেণির অধিকার কেড়ে নিয়ে তা মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া। এর আগেও একাধিক সভায় এই অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপির জোটসঙ্গী টিডিপির প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু ঘোষণা করেছেন, সে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে (লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোটও হচ্ছে) মুসলিমদের জন্য চার শতাংশ সংরক্ষণ করবেন তিনি। কিন্তু সহযোগী দলের নেতার ওই প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি মোদী বা বিজেপির অন্য কোনও নেতা।

এপ্রিলের গোড়ায় নির্বাচনী ইস্তহার প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস। তার পরেই মোদী রাজস্থানে ভোটের প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেসের ইস্তাহার দেখে স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী মুসলিম লিগের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।’’ এর পরে মধ্যপ্রদেশের মোরেনা এবং উত্তরপ্রদেশের আগরার সভায় গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মা-বোনেদের সঞ্চয়ে কংগ্রেসের নজর পড়েছে।’’ বাড়িতে সঞ্চিত সোনার গয়না থেকে শুরু করে হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের মঙ্গলসূত্রের উপর সম্পত্তি কর চাপিয়ে কংগ্রেস সেই অর্থ মুসলিমদের মধ্যে বিলোতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ, গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটের পরে পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝেই মোদী-সহ বিজেপি নেতারা ক্রমশ মেরুকরণের সুর আরও চড়ান। গত ২১ এপ্রিল মোদী রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় বিজেপির সভায় বলেন, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।’’

এর পরে ২২ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের নজর আপনার সম্পত্তির উপরে রয়েছে। ক্ষমতায় এলে এরা মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে। কাদের বিলিয়ে দেবে, তা আপনারা জানেন।’’ গত ৩০ এপ্রিল তেলঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রের প্রচারে মোদী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করলে কংগ্রেস তফসিলি জাতি ও জনজাতি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের দিয়ে দেবে। তেলঙ্গানার জাহিরাবাদে তিনি বলেন, “যত দিন আমি বেঁচে আছি, দলিত জনজাতিদের সংরক্ষণকে ধর্মের ভিত্তিতে মুসলিমদের হাতে তুলে দেব না, দেব না, দেব না! কংগ্রেস এবং তাদের যত সহযোগী রয়েছ, তারা কান খুলে এটা শুনে নাও।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement