(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
মুসলিম লিগের পরে এ বার লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ইস্তাহারে মাওবাদীদের ছায়া দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! শুক্রবার মুম্বইয়ের বিজেপির সভায় কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস এখন টিকে থাকার মরিয়া চেষ্টা করছে। ওরা যতটা সম্ভব নীচে নামতে পারে। মাওবাদীদের অনুকরণ করে ইস্তাহারে এখন মন্দিরে সঞ্চিত সোনাদানা এবং মহিলাদের মঙ্গলসূত্রকে নিশানা করা হয়েছে।’’
গত ৫ এপ্রিল লোকসভার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস। তার পর দিনই মোদী রাজস্থানে ভোটের প্রাচারে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেসের ইস্তাহার দেখে স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী মুসলিম লিগের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।’’ এর পরে মধ্যপ্রদেশের মোরেনা এবং উত্তরপ্রদেশের আগরার সভায় গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মা-বোনেদের সঞ্চয়ে কংগ্রেসের নজর পড়েছে।’’ বাড়িতে সঞ্চিত সোনার গয়না থেকে শুরু করে হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের মঙ্গলসূত্রের উপর সম্পত্তি কর চাপিয়ে কংগ্রেস সেই অর্থ মুসলিমদের মধ্যে বিলোতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওই অভিযোগের জবাবে কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ মোদীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, ‘‘যে ব্যক্তি নিজের জীবনে মঙ্গলসূত্রের সম্মান করেননি, তিনি আজ মঙ্গলসূত্র নিয়ে কথা বলছেন!’’ পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারে ‘মুসলিম তুষ্টিকরণের’ অভিযোগ তুলতে গিয়ে মোদী দাবি করেছিলেন, তফসিলি জাতি-জনজাতি এবং অনগ্রসরদের (ওবিসি) প্রাপ্য সংরক্ষণের কোটার একাংশ মুসলিমদের দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস!
কংগ্রেসের ইস্তাহারে কমিউনিস্টদের চিন্তাধারার প্রতিফলন রয়েছে বলেও সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বার দাবি করেছেন মোদী। এ বার সরাসরি দেশের প্রধান বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মাওবাদী আদর্শ অনুসরণের অভিযোগ তুললেন তিনি। মোদীর অভিযোগের জবাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে শনিবার মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘এর আগে উনি (মোদী) অভিযোগ করেছিলেন, আমাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে মুসলিম লিগের ছোঁয়া রয়েছে। এখন বলছেন, মাওবাদী ছায়ার কথা! পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই উনি এমন মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কংগ্রেস কখনও তফসিলি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণে কাটছাঁট করবে না। কারও সঞ্চিত সম্পদে হাত দেবে না।’’