হাওড়ার সভাতে এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার সাকরাইলে রবিবার সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সভাতে ফের এক বার তিনি নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন। সভা চলাকালীন আচমকাই তাঁর চোখ যায় সভাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা দুই কিশোরীর দিকে। দু’জনের হাতেই দু’টি আঁকা ছবি। একটিতে মোদীর, অন্যটিতে আঁকা ‘বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও’-এর। আর তাঁদের মধ্যে এক জন কিশোরীর চোখে জল, যা দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রীও।
নিজের হাতে মোদীর ছবি এঁকেছিলেন হাওড়ার দুই বোন বাণী শর্মা ও উন্নতি শর্মা। ইচ্ছে ছিল তাঁদের আঁকা ছবি তাঁরা উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁদের ভাষায়, সেই স্বপ্ন যে কখনও সফল হবে তা তাঁরা ভাবেনি। জনসভায় তখন অসংখ্য মানুষের ভিড়। প্রত্যেকের চোখ মোদীর দিকে। কিন্তু হাজার ভিড়ের মধ্যেও নজর এড়ায়নি মোদীর। আচমকা বক্তৃতা থামিয়ে তিনি দুই বোনকে কান্না থামানোর অনুরোধ করেন। পাশাপাশি, তাঁর ‘স্পেশাল প্রটেকশন ফোর্সকে’ ছবি দুটি নিয়ে আসার আবেদনও করেন। সভা শেষে বাণী ও উন্নতি জানায়, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেবে বলে নিজের হাতে ছবিগুলি এঁকেছিল। মোদীর এই আচরণে তাঁরা দু’জনেই আপ্লুত।
প্রসঙ্গত, রবিবার হুগলির চুঁচুড়াতেও জনসভা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও তিনি এই একই রকম ঘটনার সাক্ষী থাকেন। বক্তৃতার মাঝে আচমকাই লক্ষ্য করেন, দুই যুবক দু’টি ছবি তুলে ধরে রয়েছেন। মায়ের সঙ্গে মোদীর ছবি। দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েন মোদী। দীর্ঘ ক্ষণ ছবি তুলে ধরে রেখেছিলেন দুই যুবক। তাঁদের হাতে ব্যথা হবে জানিয়ে হাত নামানোর কথাও বলেন। সেই সঙ্গেই ছবি দু’টি তাঁদের থেকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন তিনি। ঘটনাচক্রে, রবিবারই ছিল মাতৃদিবস। সেই প্রসঙ্গ তুলে মোদী জানান, তাঁর কাছে ৩৬৫ দিনই মাতৃদিবস।