কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —নিজস্ব চিত্র।
হুগলির পর নদিয়া জেলা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার কৃষ্ণনগর থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করলেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আরামবাগে সাত হাজার কোটি টাকার বিকাশ যোজনার প্রকল্পের শিলান্যাস এবং সূচনা করেছি, আজও ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস এবং সূচনা করছি। এর ফলে রোজগারের নতুন পথ খুলবে। বাংলার যুবক-যুবতীদের সহায়তা করবে।’’ প্রধানমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ ছাড়া কোনও জায়গাই উন্নতি করতে পারে না। বাংলা যাতে এই পরিসরে আত্মনির্ভর হয়, সে জন্যই একটা বড় পদক্ষেপ করা হল। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ আমাদের দেশের কয়েকটি রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ব ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জন্য আকাশপথ থেকে সড়কপথ, রেলপথের আধুনীকিরণের কাজ করছে আমাদের সরকার। আজ ফরাক্কা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত জাতীয় সড়কের উদ্বোধন হল। ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। চার ঘণ্টা থেকে এখন অর্ধেক সময়ে দু’টি জায়গার মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন।’’
মোদীর কথায়, ‘‘রেল পশ্চিমবঙ্গের গৌরবের একটি অধ্যায়। কিন্তু ইতিহাসে বাংলা যা অর্জন করেছিল, স্বাধীনতার পর বাংলা আর সে রকম এগোয়নি। অনেক সম্ভাবনা থাকলেও বাংলা পিছিয়ে পড়তে থাকে। গত ১০ বছরে আমরা ওই ব্যবধানকে মেটানোর জন্য রেলের আধুনিকীকরণে বেশি করে জোর দিয়েছি। এখন বাংলায় রেলের জন্য আগের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ খরচ করছে।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানান, ১১ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রঘুনাথপুর এসটিপিপি ফেজ়-২১, ৬৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মেজিয়া থার্মাল পাওয়ার স্টেশন তৈরি হয়েছে। আজিমগঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত নতুন রেললাইনের সূচনা হয়েছে। রামপুরহাট থেকে মুরারই পর্যন্ত ২৯.৪৮ কিলোমিটার থার্ড রেল পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গবাসী।
ওই কর্মসূচির পরই বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে কৃষ্ণনগরে কী বার্তা দেন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। পাশাপাশি টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত ওই কেন্দ্রের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়েও তিনি কোনও মন্তব্য করবেন কি না, সে নিয়েও জল্পনা রয়েছে।
শুক্রবার আরামবাগের সভা থেকে সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে সিলিন্ডারে এলপিজি গ্যাস ভরার প্রকল্প (এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট), কলকাতা বন্দরের নতুন কয়েকটি প্রকল্প, কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের আধুনিকীকরণের প্রকল্প এবং রাজ্যের তিনটি রেল প্রকল্পেরও সূচনা করেন তিনি।