প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
পাঁচ বছর আগের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছিল পুলওয়ামা সন্ত্রাস ও বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার জবাবি হামলা। সে বারে প্রচারের মূল থিমই ছিল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ। সেই ঘটনার পাঁচ বছরের মাথায় এ বারে নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার প্রায় দু’সপ্তাহ পরে আজ সম্ভবত প্রথম বার নাম না করে পাকিস্তানের সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ পশ্চিমবঙ্গ যাওয়ার আগে বিহারের জামুইয়ে একটি নির্বাচনী সভা করেন মোদী। সেই সভায় কংগ্রেস তথা ইউপিএ সরকারের দুর্বল বিদেশনীতির সমালোচনায় সরব হন প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে এখন ভারতীয় সেনারা সীমান্ত পেরিয়ে হামলা করতে পিছপা নয় বলে দাবি করে মোদী বলেন, “আজকের ভারত ঘরের ভিতরে ঢুকে মেরে আসে।”
কংগ্রেসের আমলে বিদেশনীতি কতটা দুর্বল ছিল সেই প্রসঙ্গে আজকের বক্তব্যে নাম না করে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মোদী। তিনি বলেন, “একটি ছোট দেশ, যাদের আটা বাড়ন্ত বলে শোনা যায়, তারা পর্যন্ত এতটাই সাহসী হয়ে উঠেছিল যে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাত। আর জবাবে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার অন্য দেশের কাছে কেবল নালিশ জানাত। কিন্তু আমরা ঠিক করি এ ভাবে চলতে পারে না। এই কারণেই আজকের ভারত গোটা বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে।”
রাজনীতির অনেকের মতে, পরোক্ষ ভাবে পাকিস্তানের নাম না করে আজ জাতীয়তাবাদের তাস খেলে হিন্দু মেরুকরণের পথে হেঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট হতে যাওয়া বিহারের জামুই, গয়া, নওয়াদা, ঔরাঙ্গবাদে যথেষ্ট সংখ্যায় মুসলিম বাস করেন। যারা দীর্ঘ সময় ধরে লালু প্রসাদের দল আরজেডি-র ভোটার। তাই ওই এলাকায় এনডিএ প্রার্থীর জেতার জন্য হিন্দু ভোটের মেরুকরণ হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। সম্ভবত
সেই কারণেই আজ নাম না করে পাকিস্তান প্রসঙ্গ টেনে এনে জাতীয়তাবাদের হাওয়া উস্কে দেওয়ার কৌশল নেন প্রধানমন্ত্রী।