প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
তামিলনাড়ুতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ডিএমকে এবং কংগ্রেসকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ কঙ্গু অঞ্চলের ভেলোরে জনসভায় বললেন, “গোটা ডিএমকে এখন একটি পারিবারিক সংস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির কারণে তামিলনাড়ুর যুবকেরা জীবনে এগোনোর সুযোগ পাচ্ছেন না। ডিএমকে-র হয়ে রাজনীতি করতে হলে তিনটি মূল বিষয়ে পাকাপোক্ত হতে হবে— পরিবারের রাজনীতি, দুর্নীতি, তামিল-বিরোধী সংস্কৃতি।” ভেলোরের পাশাপাশি, মেত্তাপাল্লায়ামেও আরও একটি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে এখনও তীব্র জাতীয়তাবাদের হাওয়া তৈরি হয়নি, তাই এক দিকে হিন্দুত্ব, অন্য দিকে মোদী সরকারের বিভিন্ন যোজনাগুলিকেই সামনে নিয়ে আসছে দেশের প্রধান শাসক দল। আজ দক্ষিণ ভারতে দাঁড়িয়ে মোদী বলেন, “তফসিলি জাতি-জনজাতি এবং ওবিসিদের বিদ্যুৎ এবং আবাসনের জন্য ডিএমকে এবং কংগ্রেস দীর্ঘ অপেক্ষা করিয়ে রাখত। কিন্তু বিজেপি তাদের বাড়ি, বিদ্যুৎ এবং বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দিয়েছে। পরিবারবাদী দলগুলি ভাবে যে তাদের সন্তানরা ছাড়া কোনও গরিব জনজাতির প্রতিনিধি উঁচু পদে বসতে পারবেন না।’’
মোদী ইতিমধ্যেই কঙ্গু অঞ্চলে দু’বার প্রচার করেছেন। পাল্লাদাম এবং সালেমে দু’টি জনসভা করেছেন ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে। সম্প্রতি ডিএমকে-র তরফে বলা হয়, এ বারের লোকসভা নির্বাচন মোদীর ভারত ছাড়ার নির্বাচন। আজ সেই প্রসঙ্গে তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে নেতা বলেছিলেন এই ভোট, মোদীর ভারত ছাড়ার ভোট, তাঁকে কিছু কথা বলতে চাই— এ বারের ভোট, দুর্নীতিকে ভারত থেকে তাড়ানোর ভোট। এ বারের ভোট, পরিবারতন্ত্রকে তাড়ানোর। দেশবিরোধিতাকে ভারত থেকে দূর করার।”
ডিএমকে নেতা দয়ানিধি মারান তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাইকে ‘ভাঁড়’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। সেই মন্তব্যকেও অস্ত্র করতে ছাড়েননি মোদী। বলেছেন, “ডিএমকে ক্ষমতার অহংকারে ডুবে রয়েছে। তাদের এক বড় নেতা আমাদের আন্নামলাই সম্পর্কে বলতে গিয়ে অহংকারের সঙ্গে বলেছেন—তিনি আবার কে! সঙ্গে অপমানজনক শব্দও ব্যবহার করেছেন। এই অহংকার তামিলনাড়ুর মহান সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। এখানকার মানুষ এই আচরণ কখনই পছন্দ করবেন না।’’