—প্রতীকী চিত্র।
পেঁয়াজ থেকে শুরু করে টোম্যাটো— বিশেষত লোকসভা ভোটের মরসুমে খাদ্যপণ্যের দাম যাতে মাত্রা না ছাড়ায়, সে জন্য কেন্দ্র সব রকম ব্যবস্থা নেবে বলে জানালেন খাদ্য ও ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। সেই সঙ্গে দাবি করলেন, এর আগেও দাম সামান্য বাড়লেই নানা পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার।
সম্প্রতি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, দেশে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির হার এখনও তাঁদের ৪ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার অনেকটা উপরে। শুক্রবার ক্রিসিলের সমীক্ষায় দাবি, গত মাসে মাথাচাড়া দিয়েছে নিরামিষ থালির দাম। আমিষের ক্ষেত্রে গত বছরের চেয়ে দর কমলেও, জানুয়ারির চেয়ে বেশি। এই পরিস্থিতিতে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দামে রাশ টানার বার্তা দিয়েছেন গয়াল।
শনিবার মন্ত্রীর দাবি, পরিবারের মহিলাদের উপরে যাতে আর্থিক চাপ না পড়ে, সে জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেবে সরকার। গত কয়েক বছরে দামে রাশ টেনে মূল্যবৃদ্ধিকে আয়ত্তে আনার লক্ষ্যে ২৮,০০০ কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র। যখন বিশ্বের উন্নত দেশগুলির একাংশে মূল্যবৃদ্ধি চার দশকে সর্বোচ্চ ছিল, তখন তাই ভারতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছিল। আগামী দিনেও দেশের মহিলাদের পরিবারের খরচে যাতে রাশ থাকে, সে জন্য পদক্ষেপ করা হবে।
আজ মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে ইউপিএ জমানাকেও দুষেছেন গয়াল। তাঁর অভিযোগ, সেই সময়ে খাদ্যপণ্য-সহ জিনিসের মাত্রাছাড়া দাম মানুষের মাথাব্যথার কারণ হয়েছিল। কিন্তু মোদী সরকার কখনওই দরকে বেশি দিনের জন্য একটা নির্দিষ্ট সীমার উপরে উঠতে দেয়নি। টোম্যাটো, পেঁয়াজই হোক বা ডাল, সব ক্ষেত্রেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার পরেই দামকে নেমে আসতে দেখা গিয়েছে। এমনকি ভারত ব্র্যান্ডে কমদামি খাদ্যপণ্যও বাজারে ছাড়া হয়েছে। তাঁর আশা, এর হাত ধরে দর নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।