—প্রতীকী ছবি।
ভোটের কাজে ব্যবহৃত গাড়ির জন্য বিভিন্ন পাম্প থেকে তেল ও লুব্রিক্যান্ট কেনে প্রশাসন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরে তার দাম দেওয়াই রেওয়াজ। কিন্তু পাম্প মালিকদের দাবি, সেই খাতে আগের পঞ্চায়েত ও বিধানসভা ভোটের বিপুল বকেয়া মেটানো হয়নি রাজ্যের বহু পাম্পকে। এ বার লোকসভা ভোটের জন্য ফের তেল ও লুব্রিক্যান্ট দিতে পাম্পগুলিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাই বকেয়ার সমস্যার কথা তুলে ধরে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্ডিয়ান অয়েল ডিলার্স ফোরাম।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, ‘‘তেলের দাম মেটানো নিয়ে ডিলারদের সঙ্গে জেলাশাসকেরা কথা বলেন। আশা করি পারস্পরিক আলোচনায় বিষয়টি মিটে যাবে।’’
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের আর্থিক দুরবস্থার অভিযোগ করেছেন। এক্স হ্যান্ডলে তাঁর দাবি, দেউলিয়া রাজ্য সরকার ওই বকেয়া শোধ করতে পারেনি। এর পরে শীঘ্রই কল্যাণমূলক প্রকল্পেও এই আর্থিক অবস্থার প্রভাব পড়বে। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘শ্রী ও সাথী প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’’
ইন্ডিয়ান অয়েল ডিলার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট জন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, তাদের সদস্য পাম্পগুলিকে এ বারও তেল জোগানোর বার্তা দেওয়া হলেও তার টাকা কী ভাবে মেটানো হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট কথা নেই। অথচ রাজ্যের জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তরফে গত বছরের পঞ্চায়েতে তেল বণ্টন করার পরেও এখনও বহু টাকা বকেয়া। তাঁদের কাছে আসা প্রাথমিক হিসাবে, ইন্ডিয়ান অয়েলের কোনও পাম্পে তা প্রায় লক্ষ টাকা, তো কারও প্রাপ্য ৪২ লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। দ্রুত রফাসূত্র বার করে ভোটের সময়ে তেলের জোগান নিরবচ্ছিন্ন রাখার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী প্রেসিডেন্ট প্রসেনজিৎ সেনের দাবি, বিধানসভা ভোটেরও প্রাপ্য এখনও বকেয়া বহু পাম্পের। বকেয়ার অঙ্ক ৩-৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এ বারের ভোটের আগে দামের ৫০%-৭৫% টাকা আগাম দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। দাবি, পাম্পের লভ্যাংশ যা থাকে তাতে এত বকেয়া থাকলে পাম্প চালানোই কঠিন।