Lok Sabha Election 2024

সন্ত্রাস ভুলে ভোট দিলেন পুর এলাকার বাসিন্দারা

বছর দু’য়েক আগে জয়নগর-মজিলপুর পুর এলাকায় পুরসভা ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, সকাল থেকে দুষ্কৃতীবাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছিল। সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বেরোতেই দেয়নি।

Advertisement

সমীরণ দাস 

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৪ ০৯:২৫
Share:

হিঙ্গলগঞ্জের একটি মডেল বুথে ভোটারদের লাইন। —নিজস্ব চিত্র।

পুরভোটে ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ ভুলে লোকসভায় ভোট দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার বাসিন্দারা।

Advertisement

বছর দু’য়েক আগে জয়নগর-মজিলপুর পুর এলাকায় পুরসভা ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, সকাল থেকে দুষ্কৃতীবাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছিল। সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বেরোতেই দেয়নি। বন্দুক নিয়ে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল দুষ্কৃতীদের। শূন্যে গুলিও চালানো হয়। কংগ্রেসের হাতে থাকা পুরসভা দখল করতেই তৃণমূল পরিকল্পনা করে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত পুরসভায় বোর্ড গড়েছিল তৃণমূলই।

তবে ভোট-সন্ত্রাসের নিন্দা করে রাস্তায় নেমেছিলেন বাসিন্দাদের একাংশ। নাগরিক সমাজের তরফে মৌন মিছিল করা হয়। সন্ত্রাসের কোনও অভিযোগই অবশ্য সে সময়ে মানেনি শাসক দল।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকে অবশ্য উৎসাহ নিয়ে ভোট দিতে দেখা গেল মানুষকে। বুথের বাইরে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় সকাল থেকেই। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একমাত্র পুর এলাকা জয়নগর-মজিলপুর। পুরভবন সহ বিভিন্ন বুথে এ দিন নির্বিঘ্নেই ভোট প্রক্রিয়া মেটে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভী প্রামাণিক বলেন, “গত বার ভোট দিতে যেতেই পারিনি। এ বার সকাল সকাল গিয়ে ভোটটা দিয়ে এসেছি।”

প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কংগ্রেস নেতা সুজিত সরখেল বলেন, “কয়েকটি বুথে রিগিং করে তো আর লোকসভা জেতা যায় না। তা না হলে তৃণমূল এ বারও রিগিং করত। মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পেরেছেন। পুরভোটে ভোট দিতে না পারার
জবাব মানুষ এই ভোটে দেবেন বলেই মনে হয়।”

গত পুর ভোটের বিতর্ক এড়িয়ে বর্তমান পুরপ্রধান তৃণমূলের সুকুমার হালদার বলেন, “সকাল থেকে
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছি। সর্বত্র শান্তিতে ভোট চলছে। মানুষ উৎসাহ নিয়ে ভোট দিচ্ছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement