(বাঁ দিকে) দেব এবং মিঠুন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।
দেব ও মিঠুনের দ্বৈরথ কোচবিহারে। সোমবার কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ এবং আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় রোড শো করেন দেব। আজ, মঙ্গলবার কোচবিহারের নাটাবাড়িতে কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। এ বার বিজেপির হয়ে কোচবিহার পৌঁছবেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। কোচবিহার উত্তর বিধানসভায় সভা করবেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তারকা প্রচারকেরও কর্মসূচি রয়েছে জেলায়।
তৃণমূলের ভোট প্রচারে সোমবার মেখলিগঞ্জে রোড শো করলেন ঘাটালের সাংসদ টলিউড অভিনেতা দেব তথা দীপক অধিকারী। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অংশ মেখলিগঞ্জ বিধানসভা। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। এ দিন তাঁর সমর্থনেই দুপুরে মেখলিগঞ্জ বোর্ডিং মাঠ থেকে পূর্বপাড়া পর্যন্ত রোড শো করেন দেব। প্রিয় নায়ককে দেখতে ভিড় জমে যায় রাস্তার পাশে ও বোর্ডিং মাঠে। দেব বলেন, ‘‘যাঁরা কথা দিয়ে কথা রাখেন এবং যাঁরা নির্বাচনের পর পালিয়ে যান, তাঁদের বুঝতে হবে। আমাদের নেত্রী ও আমাদের দল মানুষের সঙ্গে আছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার ও স্বাস্থ্যসাথীর মতো কাজ হয়েছে।’’
নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের রায়ে মেখলিগঞ্জের বর্তমান বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় পরেশকে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটে এগিয়ে থাকতে মেখলিগঞ্জ বিধানসভাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের কংগ্রেসের মেখলিগঞ্জ শহর সভাপতি বিষ্ণুপদ ঘোষ বলেন, ‘‘রোড শো জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে। মেখলিগঞ্জে তৃণমূল প্রচুর সংখ্যায় লিড পাবে। মেখলিগঞ্জের মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে আছে।’’ বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায় যদিও বলেন, ‘‘মেখলিগঞ্জের মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে।’’
এ দিন প্রকাশ চিক বড়াইকের সমর্থনে ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরেও 'রোড শো' করেন দেব। জটেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। হেলিকপ্টারে করে সরাসরি জটেশ্বরে আসেন অভিনেতা দেব। সেখান থেকে সড়কপথে গাড়ি করে জটেশ্বর কাজলীহল্ট বাজার থেকে জটেশ্বর ধেনারপুল পর্যন্ত রোড শো করবেন তিনি। দেবের কর্মসূচিকে ঘিরে প্রবল উৎসাহ ছিল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। তাঁকে দেখতে রাস্তার দু'ধারে ভিড় জমে যায়। দেব জানান, যে হারে জনগণের ঢল তিনি দেখলেন তাতে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। এখানে তৃণমূলকে কেউ হারাতে পারবে না। এবং তাঁর নিজস্ব এলাকাতেও তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হবে। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যসভার সদস্য প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে নিজেদের হার যে নিশ্চিত তা বুঝে গিয়েছে বিজেপি। সে জন্যই যেকোনও বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন তাদের দলের নেতারা।”