শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।
ভোট দেওয়ার সময়ে তাঁর মুখ মনে রাখার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন এলেই তৃণমূল নেত্রীর এমন আর্জি নিয়ে পাল্টা সরব হল বিরোধীরা।
কোচবিহারে ভোটের প্রচারে বৃহস্পতিবার ওই আবেদন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কোচবিহারের মাথাভাঙায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে মমতা বলেন, ‘‘আমার মুখটা মনে করবেন। আর ওঁকে একটা করে ভোট দেবেন।’’ সেই আবেদনকে খণ্ডন করতে শুক্রবার মমতাকেই নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা। নদিয়ার চাপড়ায় দলীয় প্রচারে এ দিন শুভেন্দুর খোঁচা, ‘‘উনি (মমতা) বলেছেন, ‘আমাকে দেখে ভোট দিন’। আপনাকে দেখে কেন ভোট দেবে!’’ সেই সূত্রেই শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘পার্থ যখন চুরি করে, অপা-র বাড়ি থেকে যখন ৫১ কোটি পাওয়া যায়, তখন অপনি বলেছিলেন যে ‘পার্থ করেছে সেটা আমরা জানতাম না।’ কেষ্টর নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে যখন দু’শো কোটি ধরা পড়ে, কেষ্ট যখন ধরা পড়ে, তখন অপনি বলেন, ‘আমি জানতাম না।’ আর ভোটের সময় 'আমাকে দেখে ভোট দিন!’’ তার পরেই বিরোধী নেতার দাবি, ‘‘সবাই জানে, আসল চোর মমতা।’’
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘বিধানসভা এং লোকসভায় এত অযোগ্য লোকেদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করেন কেন যে, প্রত্যেক বার বলতে হয় আমার মুখ দেখে ভোট দেবেন? আর ওঁর মুখ দেখিয়ে ভোট করার পরেই শাহজাহান-শিবুরা জেলা পরিষদের সদস্য হয়েছে, লুট করেছে। তার মানে শাহজাহান-শিবুদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখই মুখোশ হয়েছে!’’ প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়েরও মন্তব্য, ‘‘এ তো পুরো খেলা! নারদ-কাণ্ডের সময়ে যাঁজের সম্পর্কে বলেছিলেন আগে জানলে টিকিট দিতাম না, পরে তাঁদের মন্ত্রী করেছিলেন। ওঁর মুখ দেখে ভোট দিতে হবে, তার পরে আবার লুটের রাজত্ব চলবে! এই সহানভূতির হাওয়া তোলা, ‘ভিক্টিম’ তাস মানুষ ধরে ফেলেছে!’’ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘এ রাজ্যে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ দেখে আশ্বস্ত হন। তাই তৃণমূলে ভোট দেন। বিজেপির অনেকের থেকেই তা শুভেন্দু ভাল জানেন!’’