অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে প্রার্থী হতে এ বার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘আহ্বান’ জানাল তৃণমূল কংগ্রেস! দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষণা না করায় খোঁচা দিয়ে একটি পোস্টারও প্রকাশ করেছে শাসক দল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অবশ্য পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘ওখানে ১ জুন ভোট। এত তাড়া কেন?’’ সেই সঙ্গে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘ডায়মন্ড হারবার আর দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি ভোট করাবে!’’
ব্রিগেডের সমাবেশেই রাজ্যের সব আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে ফের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ অভিষেকই। তবে এখনও পর্যন্ত বিজেপি-সহ কোনও বিরোধী দলই ওই কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করায় বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রচারে নিয়ে এসেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মঙ্গলবার দাবি করেছেন, ‘‘অভিষেকের জয় নিশ্চিত। তাই তাঁর বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বললেও বিরোধীরা এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারছে না!’’ সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু যে ডায়মন্ড হারবার নিয়ে এত কথা বলেন, তিনিই এসে দাঁড়ান না!’’ ডায়মন্ড হারবারে ‘প্রার্থী চাই’ লিখে একটি পোস্টার প্রকাশ করেও তাঁরা বিরোধীদের কটাক্ষ করেছেন।
তৃণমূলের এই প্রচারকে অবশ্য বিরোধীরা আমল দিতে চায়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে এ দিনই মিছিল ও সভা করতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বেল পাকলে কাকের কী? তৃণমূল লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ভেবে কী করবে? সরকার গড়তে গেলে ২৭২টা আসন লাগে। তৃণমূল লড়ছে ৪৫টা আসনে।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সিপিএম এবং আইএসএফের মধ্যে কথা চলছিল। ওই দু’দলের মধ্যে কেউ প্রার্থী দিলে কংগ্রেস সমর্থন করতো। তবে তাদের কেউই প্রার্থী না দিলে কংগ্রেস সেখানে আছে। অধীরের বক্তব্য, ‘‘আমাদের একটু সময় লাগেই। অন্যান্য জায়গাতেও আমাদের সময় লেগেছে। ডায়মন্ড হারবারে বাম এবং আইএসএফের মধ্যে একটা কথা চলছিল। তার মধ্যে আমরা ছিলাম না। তারা যদি কেউ দাঁড়ায়, আমাদের আপত্তি নেই। তারা কী করবে, জানি না। শূন্য হলে আমরা তো আছি ময়দানে!’’ প্রসঙ্গত, আইএসএফ চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকী ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হলে সিপিএম ও কংগ্রেস তাঁকেই সমর্থন করার কথা ভেবে রেখেছিল। কিন্তু আইএসএফের সঙ্গে সমঝোতার আশা ছাড়তে শুরু করেছে সিপিএম, সে ক্ষেত্রে তারা ওখানে প্রার্থী দিতে প্রস্তুত।