জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
শহরের ভোটের বাকি আর আট দিন। তার আগে বুধবার শেষ তথা সপ্তম দফার ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে বৈঠক করলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে বিশেষ ভাবে আলোচনা হয়েছে কলকাতার ভোট-নিরাপত্তা নিয়ে। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের প্রতি কমিশনের কর্তাদের বার্তা, রাজ্যের মূল শহর এই কলকাতা। ফলে, সংবাদমাধ্যম-সহ সকলের নজর থাকবে এই শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপরে। পাশাপাশি, বহু ভিআইপির বসবাস শহরের গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে। তাই গত দফাগুলির মতো সপ্তম দফাতেও কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকায় ভোট-নিরাপত্তা যথোপযুক্ত রাখতে হবে।
সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের তরফে বুধবারের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভোটের দিন গোলমাল পাকাতে পারে, এমন দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাদের উপরে নজরদারি চালাতে হবে। প্রয়োজনে তাদের হেফাজতেও নিতে হবে। ওই নজরদারি বা দাগি অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে কোনও গাফিলতি যে কমিশন বরদাস্ত করবে না, প্রশাসনের সকলের উদ্দেশে সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। কারণ, শেষ তথা সপ্তম দফায় বড় এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতাধীন। পয়লা জুন শেষ দফায় ভোট হবে দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে। এর মধ্যে কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্র ছাড়াও কলকাতা পুলিশকে সামলাতে হবে যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং জয়নগরের কেন্দ্রের একটি বড় অংশ।
লালবাজার জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে কমিশনের নির্দেশ মেনে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দাগি দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করে তাদের দিয়ে এই মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে যে, ভোটের দিন তারা গোলমাল পাকাবে না।
এক পুলিশকর্তা জানান, এ বারের ভোটে কলকাতা পুলিশ এলাকার জন্য থাকছে ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যা এর আগের কোনও ভোটে হয়নি। এ ছাড়া থাকছেন কলকাতা পুলিশের ১২৭০০ পুলিশকর্মী। নির্বাচনের এক দিন আগে থেকেই শহর জুড়ে টহল দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে গঠিত ২৩০টি কিউআরটি ভ্যান। পাশাপাশি থাকছে কলকাতা পুলিশের কর্মী ও অফিসারদের নিয়ে গঠিত ৩৪৭টি সেক্টর মোবাইল, ২৪০টি আরটি মোবাইল এবং ৮০টি হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস)। যাদের শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভোটের দু’দিন আগে থেকেই মোতায়েন করা হবে।