তৃণমূলের ১২ জন মহিলা প্রার্থী। —ফাইল চিত্র।
ব্রিগেড সভামঞ্চ থেকে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের ৪২টি আসনের প্রার্থী ব্রিগেডের র্যাম্পে হেঁটেছেন। তবে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকায় এ বার মহিলা প্রার্থীদের সংখ্যা আগের চেয়ে কম। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৭টি আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। এ বার দেখা গেল, প্রার্থিতালিকায় মহিলাদের সংখ্যা কমে হয়েছে ১২। অর্থাৎ, আগের চেয়ে পাঁচ জন কম, মোট প্রার্থীর ২৯ শতাংশ।
তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা। — গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গত বার যাঁরা তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন, এ বার তাঁদের কেউ কেউ বাদ পড়েছেন। পরিবর্তে সুযোগ দেওয়া হয়েছে নতুনদের। এ বছর তৃণমূলের তালিকায় মহিলা প্রার্থীরা হলেন— বারাসত থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বর্ধমান পূর্ব থেকে শর্মিলা সরকার, বীরভূম থেকে শতাব্দী রায়, বিষ্ণুপুর থেকে সুজাতা মণ্ডল, আরামবাগ থেকে মিতালি বাগ, হুগলি থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর থেকে সায়নী ঘোষ, জয়নগর থেকে প্রতিমা মণ্ডল, কলকাতা দক্ষিণে মালা রায়, কৃষ্ণনগর থেকে মহুয়া মৈত্র, মেদিনীপুর থেকে জুন মালিয়া এবং উলুবেড়িয়া থেকে সাজদা আহমেদ।
কাকলি, শতাব্দী, প্রতিমা, মালা, মহুয়া এবং সাজদা গত বারের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। এ বারও এঁদের উপরে ভরসা রেখেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে গত বার জিতেও বাদ পড়েছেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান, যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীরা। মিমি অবশ্য কিছু দিন আগেই বিধানসভায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংসদ পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। তবে মিমির ইস্তফার চিঠি গৃহীত হয়েছে কি না, জানা যায়নি। তিনি জানিয়েছিলেন, দলনেত্রী ইস্তফা গ্রহণ করলে সংসদে গিয়েও ইস্তফা দিয়ে আসবেন। ফলে নতুন প্রার্থিতালিকায় মিমির নাম না থাকা একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়।
গত বার যে ১৭ জন মহিলাকে বিভিন্ন কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল, তাঁরা হলেন, অপরূপা পোদ্দার (আরামবাগ), মুনমুন সেন (আসানসোল), অর্পিতা ঘোষ (বালুরঘাট), মমতাবালা ঠাকুর (বনগাঁ), কাকলি ঘোষ দস্তিদার (বারাসত), নুসরত জাহান (বসিরহাট), শতাব্দী রায় (বীরভূম), মমতাজ-সঙ্ঘমিত্রা (বর্ধমান-দুর্গাপুর), রত্না দে নাগ (হুগলি), মিমি চক্রবর্তী (যাদবপুর), বিরবাহা হাঁসদা (ঝাড়গ্রাম), প্রতিমা মণ্ডল (জয়নগর), মালা রায় (কলকাতা দক্ষিণ), মহুয়া মৈত্র (কৃষ্ণনগর), মৌসম নুর (মালদহ উত্তর), রূপালি বিশ্বাস (রানাঘাট) এবং সাজদা আহমেদ (উলুবেড়িয়া)।
উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরে লোকসভায় কেন্দ্রের মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের পরে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, লোকসভায় তাঁরা অর্ধেক সংখ্যক (২১ জন) মহিলা প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, তা হয়নি। বরং আগের চেয়ে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা আরও কমে গিয়েছে।