রাহুল গান্ধী। —ফাইল ছবি।
চলতি লোকসভা নির্বাচনে জিতে দেশের সংবিধান পাল্টাতে এবং সংরক্ষণ ছিনিয়ে নিতে চায় বিজেপি। ওড়িশার বলাঙ্গিরে আজ নির্বাচনী সমাবেশে এই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘বিজেপির প্রতিটি নেতা-কর্মীকে বলছি, নরেন্দ্র মোদী কেন, বিশ্বের কোনও শক্তির এই বই (সংবিধান)-এ হাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই।’’ একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, গরিব-প্রীতির কথা বললেও নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ আদতে নিজেদের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরদের সুবিধা করে দিচ্ছেন।
লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে থেকেই ‘৪০০ পার’ আসনের স্লোগান তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী-সহ বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতা দাবি করেছিলেন, এ বার দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে সংবিধান বদল করা হবে। হিন্দু রাষ্ট্র হবে ভারত। সেই দাবিই এখন কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের অন্যতম অস্ত্র। ওড়িশায় রাহুল বলেছেন, ‘‘ভারতের গরিব, দলিত, পিছিয়ে পড়া সমাজ, আদিবাসী, সংখ্যালঘু, কৃষক ও শ্রমিককে অধিকার দিয়েছে সংবিধান। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দল বলছে, তারা ক্ষমতায় ফিরলে সংবিধান ধ্বংস করে দেবে। বিজেপির বড় বড় নেতারা নিয়ম করে এই কথা বলে চলেছেন।’’
প্রতিটি নির্বাচনী সভায় রাহুল অভিযোগ করে চলেছেন তৃতীয় বার দিল্লির ক্ষমতা দখল করলে সংরক্ষণ ব্যবস্থাটাই তুলে দেবেন মোদী-শাহেরা। ওড়িশায় তিনি বলেন, ‘‘অম্বেডকর, গান্ধী এবং জওহরলাল নেহরু দলিত, আদিবাসী এবং পিছিয়ে পড়া অংশকে সংরক্ষণ সুবিধা দিয়েছিলেন। বিজেপির বড় বড় নেতারা এখন বলছেন সংরক্ষণ তাঁরা বাতিল করে দেবেন। এক বার আপনারা (বিজেপি নেতৃত্ব) সংবিধান ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে দেখুন, কংগ্রেস এবং দেশ আপনাদের কী করে!’’ তাঁর অভিযোগ, ভোট-প্রচারে প্রধানমন্ত্রী ‘গরিব-দরদি’ সাজার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আদতে নিজেদের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরদের ঋণ মকুব করে সুবিধা দিচ্ছে এই সরকার। অথচ কৃষক, ছাত্রছাত্রীরা ঋণ পাচ্ছেন না।
ওড়িশায় আজ রোড শো এবং সমাবেশ করেছেন শাহ। তিনি বলেছেন, ‘‘৪০০ পার স্লোগান নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করেছেন। কিন্তু স্থায়ী ও শক্তিশালী সরকার ছাড়া দেশের অগ্রগতি অসম্ভব।’’