নওশাদ সিদ্দিকীর। —ফাইল ছবি।
দীর্ঘ দিন পরে ভাঙড়ে কর্মি বৈঠকে দেখা মিলল বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর কাশীপুর থানার কাছে জামাইপাড়ায় একটি আমবাগানে বৈঠক করেন নওশাদ। উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী নুর আলম খান, আইএসএফের জেলা সভাপতি আব্দুল মালেক, জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হকেরা। শুরুর দিকে হাতেগোনা কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন। নওশাদ আসার কিছুক্ষণ আগে ভিড় বাড়ে। তবে বহু চেয়ার খালিই ছিল।
সিপিএমের সঙ্গে জোট না হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে নওশাদ বলেন, “আমরা এক সঙ্গে লড়াই করতে চেয়েছিলাম। ভাঙড়ে সিপিএম নেতা তুষার ঘোষ, রশিদ গাজির মতো কিছু ভাল মানুষ রয়েছেন। কিন্তু এঁরা দলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় নেই। দলের সিদ্ধান্ত নেন উপরতলার কয়েক জন নেতা। সে জন্যই আমাদের আলাদা লড়াই করতে হচ্ছে।” বামেরা আইএসএফের ‘মাথায় কাঁঠাল রেখে খেয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন নওশাদ।
তিনি বলেন, “এ বার থেকে আর সেটা হবে না। আমাদের মাথার কাঁঠাল আমরা নিজেরাই খাব।” তিনি আরও বলেন, “শুধু ঠান্ডা ঘরে বসে ভাষণ দিলে হবে না, বিমানবাবু, সুজনবাবুরা ময়দানে এসে লড়াই করুন।”
ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক তথা ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লা পরে বলেন, “আইএসএফের সভা সুপার ফ্লপ। বোঝা যাচ্ছে, ভাঙড়ের মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। বাইরে থেকে লোক এনেও সভাস্থল ভরাতে পারেনি।”
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “বিজেপি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমরা কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা চেয়েছিলাম। আমরা আলোচনার মাধ্যমে পাঁচটি আসন দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা তা মানতে চায়নি। আমাদের সঙ্গে ওদের ভোট কাটাকাটি হলে কাদের সুবিধা হবে, সেটা আইএসএফের বোঝা উচিত ছিল।”