প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বুধবার নিয়ম মেনেই রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মোদী। তার আগে তাঁর নেতৃত্বাধীন যে মন্ত্রিসভা গত পাঁচ বছর ধরে দেশ সামলেছে, সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে শেষ বারের বৈঠকটি করে নেন তিনি। জানা গিয়েছে, মোদী তাঁর মন্ত্রীদের উজ্জীবিত করেছেন বিদায়ী বক্তৃতায়। বলেছেন, হারজিত রাজনীতির অঙ্গ। এতে ভেঙে পড়লে চলবে না।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফলে ভোট বাক্সে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। পাঁচ বছর আগে যে বিজেপি ৩০৩টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল, তারা এ বার আটকে গিয়েছে ২৪০ আসনে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বহু সদস্যই নিজ নিজ কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম স্মৃতি ইরানি, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, কৈলাস চৌধুরি, অর্জুন মুন্ডা বাংলার সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক প্রমুখ। জনতার এই প্রত্যাখ্যানে দেশের মন্ত্রীদের ভেঙে পড়া অস্বাভাবিক নয়। মোদী সম্ভবত তাঁদের কথা মাথায় রেখেই বিদায়ী বক্তৃতায় জয়-পরাজয় নিয়ে দর্শনের কথা শুনিয়েছেন। ঠিক কী কী বলেছেন মোদী তাঁর বিদায়ী মন্ত্রিসভার বিদায় সম্ভাষণে?
মোদী বলেছেন, ‘‘জয় বা পরাজয় সবই রাজনীতির অঙ্গ। সংখ্যার খেলা চলতে থাকবে। তবে আমরা ভাল কাজ করেছি গত দশ বছর ধরে। আগামী দিনেও সেই কাজ চালিয়ে যাব।’’
বুধবার ওই মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সকাল সাড়ে ১১টায়। তবে সেখানে মোদী লোকসভা ভোটে বিজেপির আসন সংখ্যা কমে যাওয়া বা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া নিয়ে বিশদ আলোচনা করেননি। বরং মোদী বলেন, ‘‘শাসক গোষ্ঠী (এনডিএ) মানুষের আশা এবং ভরসা জিততে পেরেছে। আগামী দিনেও তা করতে পারবে বলে আশা করি। আপনারা সবাই ভাল কাজ করেছেন এবং পরিশ্রমও করেছেন। তাই আপনাদের অভিনন্দন।’’
বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন মোদী। তবে ইস্তফা দিলেও পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া অবধি তিনিই থাকবেন দেশের কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী। সব ঠিক থাকলে এনডিএ দেশের সরকার গড়তে পারে আগামী দিনে। যদি তা হয় এবং মোদীই প্রধানমন্ত্রী হন, তবে তিনি হবেন জওহরলাল নেহরুর পর দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি তৃতীয় বারের জন্য সরকারে ফিরবেন।