রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। —ফাইল চিত্র।
গত ১৬ মার্চ দেশের লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তার পর থেকে কমিশনের কাছে ভোট সংক্রান্ত বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। মাত্র চার দিনের মধ্যেই অভিযোগের সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে এক লক্ষের গণ্ডি। প্রথম দফায় রাজ্যের যে যে আসনে নির্বাচন রয়েছে, অভিযোগের তালিকায় তার মধ্যে শীর্ষে কোচবিহার।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অতিরিক্ত সিইও অরিন্দম নিয়োগী এবং ডেপুটি সিইও সুব্রত পাল। —নিজস্ব চিত্র।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অতিরিক্ত সিইও অরিন্দম নিয়োগী। সেখানেই তিনি জানান, ভোটঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৭২৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রথম দফায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে নির্বাচন রয়েছে। এই তিন আসনের মধ্যে কোচবিহার থেকে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখান থেকে মোট ৫,৭২৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
এ ছাড়া সিইও-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চার দিনে আলিপুরদুয়ার থেকে ৩,৪৫৮টি অভিযোগ, জলপাইগুড়ি থেকে ১,৯২৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অতিরিক্ত সিইও আরও জানিয়েছেন, রাজ্য, কেন্দ্র এবং কমিশনের ২৪টি সংস্থা মিলে গত ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৮১ কোটি ২১ টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে।
নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণের জন্য সিভিজিল নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে কমিশন। সেই অ্যাপে কেউ কোনও অভিযোগ জানালে কমিশন ১০০ মিনিটের মধ্যে তাঁর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে। সেই অ্যাপে এই চার দিনে ২৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সিইও। তার মধ্যে কোচবিহার থেকে জমা পড়েছে ন’টি অভিযোগ। এ ছাড়া, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি থেকে দু’টি করে অভিযোগ জমা পড়েছে ওই অ্যাপে।
আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে দেশে লোকসভা নির্বাচন শুরু। সাত দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি দফাতেই পশ্চিমবঙ্গের কোনও না কোনও আসনে ভোট রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম দফায় ভোট হবে উত্তরবঙ্গের তিন আসনে। বুধবার থেকে সেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।