প্রজ্জ্বল রেভান্না। —ফাইল চিত্র।
উন্নয়নের কাজে সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জেলা পঞ্চায়েত সদস্য। ভাবেননি সম্ভ্রমহানি করবেন খোদ সাংসদ!
হাসনের এনডিএ প্রার্থী প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে আরও এক অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। হাসন জেলা পঞ্চায়েতের এক প্রাক্তন মহিলা সদস্যের অভিযোগ, গত তিন বছরে বহু বার প্রজ্বল তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দিওকরেছেন। ৪৪ বছরের ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে এ বার ধর্ষণের মামলা রুজু করল সিআইডি।
অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, ২০২১ থেকে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বহু বার তাঁকে ধর্ষণ ও নিগ্রহ করেছেন প্রজ্বল। এমনকি মেরে ফেলার হুমকিও দিতেন। নির্যাতিতা বলেন, “২০২১ সালে প্রজ্বলের সাংসদ কোয়ার্টারে কাজের জন্য গিয়েছিলাম। সকলের সঙ্গে কথা বলার শেষে আমাকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়েদরজা বন্ধ করে দেন।” অভিযোগ,এর পরে তাঁকে ধর্ষণ করেনপ্রজ্বল। তা ভিডিয়ো করে রাখেন। ওই ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বার বার ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন প্রজ্বল।
এখানেই শেষ নয়, আরও এক অভিযোগ সামনে এল। মাইসুরের কৃষ্ণরাজ নগরের বাসিন্দা এইচডি রাজুর অভিযোগ, তাঁর মাকে অপহরণ ও ধর্ষণ করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ তাঁর মা। এ ক্ষেত্রে প্রজ্বলের পাশাপাশি তাঁর বাবা এইচডি রেভান্না ও তাঁর শাগরেদ সতীশ বাবান্নার নামে অভিযোগ করেন রাজু। তিনি ও তাঁর মা রেভান্নাদের খামারবাড়িতে ছ’বছর কাজ করেছিলেন। অসহায় ওই যুবক অভিযোগপত্রে লিখেছেন, “জানি না মাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে।... আমার মাকে খুঁজে বার করুন।” এই ঘটনায় সতীশকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রজ্বলের বাবা আগাম জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
একের পর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বার প্রজ্বল ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ-অপহরণের মামলা রুজু করেছে সিট। আজ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, প্রজ্বল যেখানেই যান, তাঁকে খুঁজেবার হবে।