রাজ ঠাকরে এবং অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র ।
মঙ্গলেই কি বিজেপির সহযোগী হতে চলেছে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)? জল্পনা আরও উস্কে দিল্লি পৌঁছলেন এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে এবং তাঁর পুত্র অমিত। সোমবার গভীর রাতে তাঁরা দিল্লি পৌঁছন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন রাজ। সব কিছু পরিকল্পনামাফিক চললে মঙ্গলবারই এমএনএস-বিজেপি জোটের কথা ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে এমএনএস নেতাদের গোপন বৈঠক হয়েছিল বলে মরাঠা রাজনীতিতে জল্পনা ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজের দল যে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধতে চলেছে, তেমন ইঙ্গিত সোমবারই মিলেছিল দেবেন্দ্রর মন্তব্যে। রাজের এনডিএ-তে যোগদানের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে দেবেন্দ্র সোমবার বলেন, ‘‘আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনই এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না। যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আমরা আপনাদের জানিয়ে দেব।’’
এর পর গভীর রাতে পুত্রকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছন রাজ। সোমবার রাতে দিল্লি পৌঁছে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, “আমি এখনও জানি না আমার সময়সূচি কী। আমাকে দিল্লি আসতে বলা হয়েছে। এখন দেখা যাক কী হয়।’’
মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের এনসিপি এখন বিজেপির সহযোগী। লোকসভা ভোটে আসন রফা নিয়ে শিন্ডে-অজিতের সঙ্গে এখনও চূড়ান্ত সমঝোতায় আসতে পারেনি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল। এই পরিস্থিতিতে প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো জোটে যোগ দিলে নতুন করে এনডিএ-র অন্দরে টানাপড়েন তৈরি হতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সহযোগী হিসাবে শিবসেনা ২৩টি আসনে লড়েছিল। জিতেছিল ১৮টিতে। বিজেপি ২৩টিতে লড়া সবগুলিতেই জিতেছিল। বিরোধী জোটের মধ্যে এনসিপি ৪, কংগ্রেস একটি এবং জোট সমর্থিত নির্দল একটি আসনে জিতেছিল। দলিত নেতা প্রকাশ অম্বেডকরের ‘বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ী’র সঙ্গে জোট বেঁধে হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) জিতেছিল একটি আসনে।