গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র।
প্রায় ১১ ঘণ্টা টানা বসে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি-সহ তিনটি কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ভোট পরিচালনার কাজ করলেন গৌতম দেব। জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বাড়তি নজর দিলেও বাকি এলাকাতেও প্রয়োজন মতো দলীয় নির্দেশে কাজ করে গেলেন। শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ আসতেই তিনটি কেন্দ্রের ভোট সংক্রান্ত নানা তথ্য তিনি দিনভর পাঠালেন দলনেত্রীকে। ভোট শুরুর এক ঘণ্টা পরে, সকাল ৮টা থেকে দার্জিলিং লোকসভার শিলিগুড়ির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়ির ফাঁকা তিনতলায় ‘কন্ট্রোল রুম’ খুলে সন্ধ্যা ৭টা অবধি ভোট পরিচালনা করলেন শিলিগুড়ির মেয়র।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার আগে দলের জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য বললেন, ‘‘বিজেপি হারছে বুঝে অনেক জায়গায় গোলমাল, প্ররোচনা তৈরির চেষ্টা করেছে। আমরা কর্মীদের শান্ত, সংযত এবং বিজেপি থেকে দূরে থাকতে বলেছিলাম। নেত্রীকে মানুষ আশীর্বাদ করেছেন। আমরাই জিতব।’’
সকালে প্রথমেই ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির ব্লক সভাপতি, ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয়া এক কাউন্সিলর, এনজেপি এলাকার এক নেতাদের কাছ থেকে ভোটের খবর নিতে থাকেন। বুথে ভিড়, ‘ইভিএম’ খারাপ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ পেয়েই সকাল সকাল কমিশন ও প্রশাসনের নজরে সব আনা শুরু করেন। তার পরে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের প্রার্থী থেকে কিছু নেতাদের সঙ্গে যোগযোগ করে নেন। কোথায়, কী অবস্থায় জেনে, কাকে কোথায় পাঠানো দরকার, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করানোর নির্দেশ দেন। তার পরেই আলিপুরদুয়ারের প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে চা বাগান-সহ কেন্দ্রের কী অবস্থা শুনে নেন। কোচবিহার থেকে ফোন আসতেই দিনহাটা-প্রসঙ্গ নিয়ে আলাদা ভাবে নেতাদের সঙ্গে কথাও বলেন। তার পরেই তৃণমূল নেত্রীকে ফোনে ভোট সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে শুরু করেন।
দলীয় স্তরে দিনভর জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার কেন্দ্রের বিভিন্ন তথ্য, কমিশনে অভিযোগ, কলকাতার নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র। এর মধ্যে শিলিগুড়ি শহরে তাঁর ওয়ার্ড ৩৩ নম্বরে বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় সমস্যা তৈরি করছেন বলে দলের নেতারা অভিযোগ করেন। দলবল নিয়ে বিধায়ক এলাকার ভিড় করে স্লোগান, রাস্তা আটকে রাখছেন বলেও অভিযোগ পান। সঙ্গে সঙ্গে কমিশনে অভিযোগ জানান। ফোনে মেয়রকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বিধায়কের সকাল থেকে ছবি, ভিডিয়ো-সহ কাজকর্ম কমিশনে জমা করেছি। আমি লোকজন নিয়ে এখনই এলাকায় যেতে পারি। তাতে খুব একটা ভাল হবে না। ভোটটা শান্ত ভাবে করাতে হবে। এটাই নেত্রীর নির্দেশ।’’