দেড় দশক পর উত্তর মালদহে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে মৌসুম নূরের ভোটের প্রচার। ইংরেজবাজারের অমৃতিতে। ছবি স্বরূপ সাহা।
দেড় দশক ধরে লোকসভা ভোটে তিনি ছিলেন প্রার্থী। কখনও কংগ্রেসের, কখনও ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। প্রতীক বদলালেও বদলায়নি কেন্দ্র। তবে এ বার ছবিটা ভিন্ন। তাঁকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। শুক্রবার উত্তরের চেনা মাটির বদলে দেড় দশক পরে, দক্ষিণ মালদহ থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর। দুপুরে ইংরেজবাজারের অমৃতিতে দলীয় প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হানকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে ভোট প্রচার করেন তিনি।
প্রচারে নামলেও প্রার্থী না-হওয়ার ‘হতাশার’ কথা জানান মৌসম। তিনি বলেন, “প্রার্থী না হওয়ায় খারাপ লাগছে। তবে দলনেত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জেলায় ভোট প্রচার শুরু করেছি। দল যেখানে যেতে বলবে, সেই মতো প্রচার চালাব।” তিনি ২০০৯ সাল থেকে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র থেকে দু’বার কংগ্রেস এবং এক বার তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূলের টিকিটে হারলেও, কংগ্রেস থেকে দু’বার তিনি জয়ী হয়ে সাংসদ হন। তাই, মৌসমের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে জানান দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান। তিনি বলেন, “সুজাপুর বিধানসভা থেকে রুবি নুর প্রার্থী হতেন। তাঁর মেয়ে মৌসম নুর আমার হয়ে প্রচার করছেন। তিনি প্রচারে নামলে বাড়তি সুবিধা মিলবে।”
উত্তর মালদহে চেনা মেজাজেই প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুর বাজার থেকে তিনি প্রচার শুরু করেন। মাজারে, মন্দিরে গিয়ে জনসংযোগ করেন তিনি। প্রচারে বেরিয়ে বলেন, “সিএএ-র পরে এনআরসি চালু করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিতে চায়। ডিটেনশন ক্যাম্প হলে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব। ডিটেনশন ক্যাম্প হতে দেব না।” সংখ্যালঘু ভোট টানতে নিয়ে তৃণমূল ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির উত্তর মালদহের নির্বাচনী দায়িত্ব থাকা নেতা অজয় গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, “তৃণমূল সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করে ভোট জিততে চাইছে।”