রাজ্যসভায় বিদায়ী সাংসদদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ৯ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে আগামী এপ্রিলে। পালা শেষ হচ্ছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডারও। ইতিমধ্যেই দু’বার রাজ্যসভায় টিকিট পেয়েছেন নড্ডা। দু’বারের বেশি রাজ্যসভার টিকিট না দেওয়ার যে নীতি রয়েছে তা মেনে চললে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি যে রাজ্যসভার নির্বাচন রয়েছে নড্ডার তাতে টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে যে হেতু এ’টি ভোটের বছর, তাই নড্ডার জন্য ব্যতিক্রমী অবস্থান নিয়ে তাঁকে অন্য রাজ্য (নড্ডার নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশে বর্তমানে কংগ্রেসের শাসন) থেকে জিতিয়ে আনতে পারে দল। কিন্তু বাকি নেতাদের লোকসভা ভোটে লড়তে বলে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে রাজ্যসভায় সব মিলিয়ে ৫৬ জন সাংসদের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন, তেমনই রয়েছেন মোদী মন্ত্রিসভার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের মতো হেভিওয়েটেরা। এদের মধ্যে ভূপেন্দ্র যাদব, ধর্মেন্দ্র প্রধান, মনসুখ মাণ্ডবিয়াদের রাজ্যসভায় দু’দফার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। বিজেপি সাধারণত দু’বারের বেশি কোনও নেতাকে রাজ্যসভার প্রার্থী করে না (ব্যতিক্রম, অরুণ জেটলি, রবিশঙ্কর প্রসাদ)। তাই সূত্রের মতে, মন্ত্রিসভার ওই সদস্যদের আসন্ন লোকসভায় লড়ার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে বলে দিয়েছে দল। বিজেপি সূত্রের মতে, এর মধ্যে মনসুখ মাণ্ডবিয়া ভাবনগর, আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রূপালা উত্তর গুজরাত থেকে প্রার্থী হতে পারেন। ওড়িশা থেকে প্রার্থী হতে পারেন ধর্মেন্দ্র প্রধান ও অশ্বিনী বৈষ্ণব। ভূপেন্দ্র যাদব হরিয়ানা বা রাজস্থান, রাজীব চন্দ্রশেখর কর্নাটক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এল মুরুগন ও ভি মুরলীধরন যথাক্রমে তামিলনাড়ুর নীলগিরি ও কেরলের কোনও আসন থেকে নির্বাচনে লড়তে পারেন।