সোমবার ভগবানগোলার রানীতলায় নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে আগেই নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এ বার একই অভিযোগে রাজ্যে ভোটের কাজে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্দেশেও হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে সোমবার প্রচারসভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “বিজেপির কথায় এমন কাজ করবেন না, যাতে আগামী দিনে আপনাদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিতে পারে!” রাজ্যে বিভিন্ন মামলার তদন্ত নিয়ে সিবিআই, ইডির বিরুদ্ধে ‘ভয় দেখানো’র অভিযোগও করেন মমতা।
রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজকর্ম নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই দলের অসন্তোষ সামনে এনেছে তৃণমূল। ভোটের মধ্যেও বেশ কয়েক বার তাদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। সেই মনোভাবই আরও স্পষ্ট করে এ দিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, “বিজেপির লোকেদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ভয় দেখিও না। গুলি চালিও না। ভোটারকে উস্কানি দিও না!” তার পরেই ভবিষ্যতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, “আমি তা চাই না। নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবেন। রাজ্য সরকার আপনাদের সব রকম সাহায্য করবে।” একই সঙ্গে অবশ্য তিনি বলেছেন, “আপনারা আমাদের পরিবারের সদস্য। আমি কারও বিরুদ্ধে নই।”
রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা বলেছেন, “যিনি আদালতকে হুমকি দেন, তাঁর কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড় পাবে? বিনাশ কালে এমন অনেকে বলে থাকেন।” তাঁর আরও মন্তব্য, “মানুষ তৃণমূলের কথা শুনছে না, আদালতও শুনছে না। সেই হতাশা থেকে এই কথা বলছেন।”
তীব্র গরমেই এ দিন দু’টি জনসভা করেছেন মমতা। এ বার দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে না, এই দাবি করে মমতা এ দিন বলেন, “২০২৪ সালে অটলজি (অটলবিহারী বাজপেয়ী) ‘ইন্ডিয়া স্মাইলিং’ স্লোগান দিয়েও বিজেপিকে জেতাতে পারেননি।” তিনি আরও বলেন, “আর এক মাস মোটে বাকি। তার পরে বাজবে ঢাক! মানুষ বাজাবে। চলবে বিজেপির বিসর্জন। সারা দেশ জুড়ে।” সেই সূত্রেই তৃণমূল এখানে একই সঙ্গে কেন বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের বিরোধিতা করছে, তার ব্যাখ্যা দিয়ে মমতা বলেন, “আমরা দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটে আছি। তৃণমূল ছাড়া ইন্ডিয়ার সরকার তৈরি হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে শমীকের পাল্টা কটাক্ষ, “এটা নতুন করে বলার কী আছে? আমরা সবাই জানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন!”