মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
দেশের বিভিন্ন আইএএস, আইপিএস অফিসারদের ফোন করে বিজেপির হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তেহট্টের সভা থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, তিনি নিজের সূত্র মারফত এই খবর পেয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, কারা আইএএস, আইপিএসদের ফোন করছেন, তা-ও ‘ফাঁস’ করেছেন মমতা।
বৃহস্পতিবার নদিয়ার তেহট্টের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ স্টেডিয়াম থেকে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে প্রচার করেন মমতা। সেখান থেকেই তিনি আমলা এবং পুলিশের শীর্ষকর্তাদের ফোন করে বিজেপির হয়ে কাজের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, আমলা এবং পুলিশকর্তাদের যাঁর যে রাজ্যে বাড়ি, সেখানকার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের দিয়ে বাড়িতে ফোন করানো হচ্ছে। মমতা বলেন, ‘‘আমি জানি, আইএএস, আইপিএস অফিসারদের, যাঁর যে রাজ্যে বাড়ি, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের দিয়ে ফোন করানো হচ্ছে। বলানো হচ্ছে, বিজেপির পক্ষে যেন কাজটা তাঁরা করেন।’’
তবে কে বা কারা এই খবর তাঁকে দিলেন, ‘গোপন সূত্রের’ উৎস কী, তা স্পষ্ট করে বলতে চাননি মমতা। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাকে কেউ বলেনি। আমি আমার নিজের সোর্স থেকে জেনেছি। কোনও আইএএস বা আইপিএস আমাকে এটা বলেননি। খবর আমার কানে এসেছে।’’
উল্লেখ্য, আইএএস এবং আইপিএস আধিকারিকেরা প্রশাসনের অঙ্গ। কোনও দলের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক থাকে না। তাঁরা প্রশাসন পরিচালনা করেন। মমতার অভিযোগ, প্রশাসনের সেই আধিকারিকদেরই ভোটের সময়ে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।
লোকসভা ভোটের প্রথম দুই দফায় ভোট শতাংশের হার বেড়ে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘ভাবতে পারছেন! ভোটের দিন লোকে জানল এত ভোট পড়েছে। কিছু দিন পরে সেই হিসাব বদলে গেল! কমিশন বলল, আরও ছয় শতাংশ ভোট বেশি পড়েছে। কী করে ভোটের হার এ ভাবে বেড়ে যায়?’’ উল্লেখ্য, প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণের পর কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছিল, কোথায় কত শতাংশ ভোট পড়েছে। পরে কমিশনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, আরও ছয় শতাংশ ভোট বেশি পড়েছে। এর পরেই আচমকা এই ভোটবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর সন্দেহ, যে যে কেন্দ্রে বিজেপি কম ভোট পেয়েছে, সেখানে রাতের অন্ধকারে বদলে দেওয়া হচ্ছে ইভিএম। এ নিয়ে দেশের অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকেও সতর্ক হতে বলেছেন তিনি।