‘সন্দেশখালি নিয়ে চক্রান্ত করছে, মা-বোনেরা জানেনও না কী লেখানো হয়েছে’, আক্রমণ মমতার
আমডাঙার পর উলুবেড়িয়াতে জনসভা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় প্রতিটি জনসভা থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন তিনি।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
মূল ঘটনা
‘টেলিপ্রম্পটার পড়ে বাংলা বলছেন’
মোদীকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘‘টেলিপ্রম্পটার দেখে পড়ে বাংলা বলেন। নিজস্বতা বলে কিছু নেই। বাংলার সংস্কৃতি জানে না, ভাষা জানে না, কৃষ্টি জানে না।’’
‘বাংলায় বিজেপির বন্ধু হয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম’
নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূল ‘একা’ লড়ছে, রবিবারের সভা থেকে আবারও সেই বার্তা স্পষ্ট করলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় বিজেপির বন্ধু হয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। দিল্লিতে আমরা ওদের (কংগ্রেস এবং সিপিএম) সঙ্গে আছি। আমরা ইন্ডিয়া জোটকে জেতাব। ওদের সঙ্গেই থাকব।’’
‘বিশ্বাসভঙ্গকারীদের ক্ষমা করব না’
মমতা বলেন, ‘‘যত দিন শ্বাস থাকবে, তত দিন বিশ্বাসভঙ্গকারীদের ক্ষমা করব না।’’
‘বাংলা না থাকলে দেশের স্বাধীনতা হত না’
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘বাংলা না থাকলে দেশের স্বাধীনতা হত না। নবজাগরণও হত না। আজকেও শুনেছি গ্যারান্টি বাবুকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি উল্টো করে দিচ্ছিল। প্রার্থীর ছেলে উল্টো করে ছবি দিয়েছিল। প্রার্থী এসে আবার সেটা সোজা করে দিল। বাংলায় থাকবে, বাংলায় লড়বে, আর একটা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথের ছবি দিচ্ছে উল্টো করে?’’
‘সংরক্ষণ’ ইস্যু নিয়ে মোদীকে পাল্টা মমতা
মমতা বলেন, ‘‘মুসলিমরা কেন তফসালি জাতি, উপজাতিদের সংরক্ষণ কেড়ে নেবে? এটা তো সংবিধানের গ্যারান্টি। মুসলিমদের এতো নিচু করার কোনও কারণ নেই। ওরা জানে ওদের ওবিসি সংরক্ষণ রয়েছে।’’
সন্দেশখালি ইস্যুতে মোদীকে আক্রমণ মমতার
রবিবারের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘‘সন্দেশখালি নিয়ে চক্রান্ত করল। মা-বোনেরা জানেনও না তাঁদের হাত দিয়ে কী লিখিয়েছে। তাঁদের দিয়ে লিখিয়ে চক্রান্ত করেছে।’’
‘যাঁদের চাকরি দিচ্ছি, তাঁদের চাকরি খেয়ে নিচ্ছে’
মমতার কথায়, ‘‘যাঁদের চাকরি দিচ্ছি, তাঁদের চাকরি খেয়ে নিচ্ছে। একটা করে কেস করছে। সব শিক্ষার্থীদের পাশে আমরা আছি। আপনাদের সকলকে বলব পাশে থাকার জন্য। কিছু করতে পারবে না। বলেছিল, বোমা ফাটাবে, কী করল? ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিল। কী স্পর্ধা!’’
‘সবচেয়ে বড় চোর উত্তরপ্রদেশ, বিহার’
মমতা বলেন, ‘‘বাংলা চোর আর উত্তরপ্রদেশ সাধু? বাংলা চোর নয়, সবচেয়ে বড় চোর বিজেপির রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, বিহার। তোমাদের ফাইল খুললে বুঝবে, গ্যারান্টি নয়, ফোরটোয়েন্টি।’’
১০০ দিনের কাজ বন্ধ করেছেন মোদী, ৫০ দিনের কাজ চালু করেছি আমি: মমতা
মোদীকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘‘তুমি ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করেছ, কিন্তু আমি চালু করেছি। ৫০ দিনের কাজ পাবেন জব হোল্ডাররা। দরকার হলে আরও ১০ দিন পাবে।’’
‘চোরেদের নেতা বিজেপির নেতারা’
মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি করলে সিবিআই, আয়কর, ইডি কেউ যাবে না। চোরেদের নেতা বিজেপির নেতারা।’’
‘পিসি সরকারের ম্যাজিকেও হারিয়ে দেবেন মোদী’
বিজ্ঞাপন ইস্যুতে আবারও মোদীকে কটাক্ষ করলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘সব জায়গায় মোদীর ছবি। নিজেকে প্রচার করতে উনি যে এত ভালবাসেন! এ তো পিসি সরকারের ম্যাজিককেও হারিয়ে দেবে।’’
‘কথা দিলে কথা রাখি’
মমতা বলেন, ‘‘আমরা যা কথা দিই তা রাখি। বিনামূল্যে রেশন, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্মার্ট কার্ড— এই ধরনের যা কথা দিয়েছি, তা রেখেছি। কিন্তু মোদী কিছু করে না। শুধু মিথ্যা কথা বলে, কুৎসা রটায়।’’
উলুবেড়িয়ার সভায় মমতা
উলুবেড়িয়ার আমতা স্পোটিং ফুটবল গ্রাউন্ডে মমতার জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই জনসভায় দলীয় প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে সভা করতে মঞ্চে উঠলেন মমতা।
রবিবার দ্বিতীয় সভা মমতার
আমডাঙার পর উলুবেড়িয়ার জনসভায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দলীয় কর্মীদের সমর্থনে জোড়া সভা করছেন তিনি। প্রথম সভা ছিল ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের সমর্থনে। দ্বিতীয় সভা উলুবেড়িয়াতে। সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে সভা করছেন মমতা।