মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ভাষা নিয়ে বিজেপির নেতাদের কটাক্ষ মমতার। বললেন, ‘‘ওরা চার লাইন বাংলা বলে। আপনারা অবাক হয়ে ভাবেন, আরে ওরা দিল্লি থেকে এসে বাংলা বলছে! আসলে টেলিপ্রম্পটারে বাংলা বলে ওরা। আমাদের মতো নয়।’’ বিজেপিকে বহিরাগত বলেও ইঙ্গিত করলেন তিনি।
মঞ্চে বিজেপির মিথ্যা কথা প্রসঙ্গে অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিনেমার গল্প শোনালেন মমতা।
মমতা বললেন, ওরা ইডির নেওয়া টাকা জনতাকে দেবে বলেছে। কত টাকা করে পাবেন বাংলার জনগণ। ২১ টাকা করে। আপনাদের কি ২১ টাকা চাই না কি বাংলাকে বাঁচানো চাই! না কি দেশ বাঁচানো চাই। মনে রাখবেন বাংলাই দেশকে বাঁচাবে। বাংলা ক্ষমতা অনেক।’’
নওশাদ সিদ্দিকিদের আইএসএফকে নাম না করে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতার। বললেন, মুুসলমানদের একটি নতুন দল হয়েছে। ওরা বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করার কাজ করছে। যেটা হায়দরাবাদের মিম করে।
বিজেপি ভয় দেখালেই থানায় ডায়েরি করার পরামর্শ দিলেন মমতা। বললেন, ‘‘কোনও থানা যদি অভিযোগ না নয়, তবে সরাসরি আমাকে জানাবেন। আমি দেখব।’’
মমতা বললেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারটা আমাদের প্রকল্প, বিজেপির লজ্জা নেই নিজের বলে দাবি করছে। ওরা আমাদের প্রকল্প অন্য রাজ্যে চালু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পারেনি। পারবে না। ওরা ৪০ শতাংশ মা-বোনকে দেবে। আমরা ১০০ শতাংশ দিই।
মমতা বললেন, বিজেপি যবে থেকে ক্ষমতায় এসেছে, সেই ২০১৪ সাল থেকে আমাদের উপর অত্যাচার করছে। বাংলাকে ওরা মানে না। বিজেপি এখানে হুলিগানিজ়ম চালাচ্ছে।
আমি শুধু সুখের দিনে এসে কুহু কুহু করে কোকিলের মতো ডাকি না। আমি মানুষের পাশে থাকি দুঃখের দিনে। কেন্দ্রের বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ মমতার।
মমতা বললেন, ‘‘আরও একজন বাবু আছে। আমরা দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমাদের দলে ছিল আপদ। আর এখন বিজেপিতে গিয়ে হয়েছে সম্পদ। তোমার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আছে বলে দেব? সমস্ত কেস বলে দেব।’’
বিজেপি এজেন্সি দিয়ে ভোট করাচ্ছে। এজেন্সির কাছে মাথা নত করব না। বললেন মমতা।
উত্তরবঙ্গে আগে আমি আসতাম, আমি কাজ করেছি, তখন এই সব নেতারা কোথায় ছিলেন, প্রশ্ন করলেন মমতা। বললেন যা করেছি সব আমার ‘ভিশন’। বার করুন ভিশন ২০২০, দেখতে পাবেন। সব আমার সরকার করেছে।
মমতা বললেন বিজেপি চায়, গোটা দেশে একটাই রাজনৈতিক দল থাকবে। তাদের নীতি ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি’।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কী জিজ্ঞাসা করতে হবে বলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সভার কিছু ক্ষণ পরেই কোচবিহারে সভা করবেন মোদী। মমতা নাম না করে বললেন, দেখবেন এখানে এসে কত কান্না কাঁদবে সব। ওদের জিজ্ঞাসা করবেন যে, ১১ লক্ষ আবাসের তালিকা পাঠানো হয়েছিল, তার কী হল? ১০০ দিনের টাকার কী হল?
কোচবিহারের মঞ্চে মমতা কথা বলছেন উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক ঝড় নিয়ে। জানালেন, কী ভাবে রাতে ছুটে এসেছিলেন উত্তরবঙ্গে। কী কী দেখেছেন পরিদর্শনের সময়।
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর বৃহস্পতিবারই প্রথম ভোটের প্রচারে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে জনসভা করবেন তিনি। বিকেল ৩টে ৪৫-এ কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে জনসভা করবেন তিনি। তার আগেই কোচবিহারে সভা করবেন মমতা।
রাজ্যে তাঁর লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হয়েছে রবিবার থেকেই। নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে নিজের প্রথম প্রচারসভা করেছিলেন মমতা। তার পরেই মমতার দ্বিতীয় প্রচারসভা উত্তরবঙ্গে। কোচবিহারের মাথাভাঙায় গুমানির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই সভা থেকেই উত্তরবঙ্গে প্রচার শুরু করলেন মমতা। বৃহস্পতিবার তিনি একই দিনে জোড়া সভা করবেন উত্তরবঙ্গে।