মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মেদিনীপুরের সভায় মমতার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বললেন, ‘‘আমি দিদি নম্বর ওয়ান নই। দিদি নম্বর ওয়ান যে করে সে। আমি সবার দিদি। বাচ্চা থেকে বড়, ভাই থেকে বোন— সবার দিদি। আমি বিশ্বের দিদি। আমি দেশের দিদি। আমি রাজ্যের দিদি। আমি ঘরে ঘরে সবার দিদি। আমি ইউনিভার্সাল দিদি।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এসে বলেছিলেন মোদীকে গ্যারান্টি মানে গ্যারান্টি পূর্ণ হওয়ার গ্যারান্টি। পাল্টা মমতা বললেন, ‘‘মনে রাখবেন বাংলার সরকার গ্যারান্টি দিলে সেটা রক্ষা হয়! আর দিল্লি সরকার দিলে তা বর্জন হয়। দিল্লি সরকারের গ্যারান্টি কাজে লাগে না। ভোটের আগে গ্যাসবেলুন। ভোট চলে গেলেই গ্যাসবেলুন ফুটো হয়ে যায়।’’
মেদিনীপুর শহরের ঐতিহ্যের কথা বলছিলেন মমতা। একে একে টেনে আনছিলেন মেদিনীপুরের বিপ্লবীদের কথা ! স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা। আচমকাই বলে উঠলেন, ‘‘এ মাটি আনুগত্যের মাটি। এ মাটি গদ্দারদের সহ্য করে না।’’
মমতা বলেন, ‘‘ব্রিগেডে একটা সভা ডেকেছি। গর্জন সভা। বাংলার গর্জন। কেন বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। কেন আমাদের রেলের অনুমতি দেওয়া হয় না। এটা কি মগের মুলুক। আগামী দিনের শেষ কথা বাংলাই বলবে। আগামীর গর্জন বাংলাই করবে। চলুন সবাই ব্রিগেডে। ’’
মমতা বললেন, ‘‘একটা জলের লাইন কাটলে, একটা বিদ্যুতের লাইন কাটলে, একটা উচ্ছেদ হলে আমরা দেখিয়ে দেব। আমরা কেউ ঘাসে মুখ দিয়ে চলি না। আমরা ঘাসটাকে রক্ষা করি।’’
ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বহু বৈঠক করেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। সম্প্রতি আরামবাগ থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান তাঁর সরকারই করবে। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে সভা করতে এসে মমতা আবার বললেন, আমরা দিল্লির ভিক্ষা নেব না। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান আমরাই করব।
সিপিএম কী করেনি। সবাইকে ভয়ের মধ্যে রেখেছিল। কেউ কথা বলতে পারত না। আজকে সেই সিপিএমের হার্মাদরাই বিজেপির গদ্দার হয়েছে। এদের বিশ্বাস করবেন না।
লালগড়ের মানুষ ভয়ে থাকত। আজকে সবাই হাসছে। স্কুলে যাচ্ছে, কলেজে যাচ্ছে। আর কী চাই।
একটা সময়ে জঙ্গলমহল ভয়ে থাকত। কেশপুরে সিপিএমের লোকের সাত জনকে খুন করেছিল। চমকাইতলায় অজিত পাঁজাকে ঘিরে নিয়েছিল সিপিএম। লালগড়ের জঙ্গলে আমার গাড়ি চার ঘণ্টা আটকে রেখেছিল।