নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে) এবং মল্লিকার্জুন খড়্গে (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে হবে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছে কংগ্রেস। রবিবার কংগ্রেসের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, দলের তরফে রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। শনিবারই খড়্গের কাছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণপত্র আসে।
কংগ্রেস শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা জানালেও বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র তৃতীয় বৃহত্তম শরিক তৃণমূল শপথে উপস্থিত থাকছে না। শনিবারই ভোটের ফল পর্যালোচনা করতে কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। সেই বৈঠকের পর মমতা জানান, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ আসেনি তাঁর কাছে। এলেও তিনি যেতে যেতেন না। মমতার কথায়, “(আমন্ত্রণ) আসেওনি। যাবও না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক ভাবে যে সরকার তৈরি করছে, তাকে আমি শুভেচ্ছা জানাতে পারছি না! দেশের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করবেন মোদী। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মোদীর পাশাপাশি তাঁর পরিষদীয় সদস্যেরাও শপথ গ্রহণ করবেন রবিবার সন্ধ্যায়। অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতা।
লোকসভা নির্বাচনে ২৯২টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে এনডিএ সরকার গড়লেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ফলে তারা কিছুটা চাপে রয়েছে। সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপিকে শরিক দলগুলির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হচ্ছে। এনডিএ শরিকেরা মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এসেছেন মোদী। নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি কার্যনির্বাহী হিসাবে রয়েছেন। রবিবার সরকার গড়বে এনডিএ।