—প্রতীকী চিত্র।
মহানগর দরাজ, অথচ বিমুখ জেলার শহর!
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে কলকাতার দু’টি কেন্দ্র তো বটেই, মহানগরের আশেপাশের কেন্দ্রগুলিতেও রাজ্যের শাসকদলকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু এর বিপরীত চিত্র জেলার বেশিরভাগ পুর-এলাকায়। সেখানে পদ্মে ঝুঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার। ফলে, জেলার শহরে পিছিয়ে তৃণমূল।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অনেক পুরসভা এলাকা, এমনকি ব্লক শহরেও তৃণমূলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। বছর দু’য়েক আগে পুরসভার ভোটে ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভাতেই বিপুল সংখ্যক জনসমর্থন পেয়েছিল তৃণমূল। এ বার লোকসভা ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, পাঁচ পুর-শহরের মধ্যে চারটি পুর-শহরে তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন শহুরে জনতা। নিজেদের ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছেন একধিক পুরপ্রধান থেকে পুরপ্রতিনিধিও। গত দু’বছরে শহরগুলিতে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন হলেও শহরের ভোট তৃণমূল কেন পেল না, এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে।
এ দিকে, ঘাটাল মহকুমার পাঁচ পুরসভার মধ্যে চন্দ্রকোনা পুরসভায় জয় ধরে রেখেছে তৃণমূল। অন্য দিকে ঘাটাল, খড়ার, ক্ষীরপাই এবং রামজীবনপুর পুরসভায় এগিয়ে বিজেপি। অথচ গত পুর-নিবার্চনে ঘাটালে বিরোধী শূন্য করেছিল তৃণমূল। ক্ষীরপাই পুরসভাও ছিল কার্যত বিরোধী শূন্য। গত পুরভোটে খড়ার ও রামজীবনপুর পুরসভাতেও তৃণমূলের ছিল জয় জয়কার। বিরোধী শূন্য ওই চারটি পুর-শহরেই এ বার জোড়া ফল বদলে পদ্ম ফুলের দাপাদাপি। সামগ্রিক ভাবে পুর-এলাকায় তৃণমূল ভোটের অঙ্কে কোথাও দেড় হাজারেরও বেশি ভোটে পিছিয়ে, তো কোথাও হাজারের কাছাকাছি। তবে ঘাটালে ১৭টি ওয়ার্ডের ১০টিতে এগিয়ে তৃণমূল।