Lok Sabha Election 2024

ত্রিস্তরীয় কঠোর নিরাপত্তায় নজরদারি গণনাকেন্দ্রে

গণনায় কারচুপি রুখতে তাদের দলের কাউন্টিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিরোধীদের দাবি।

Advertisement

গৌর আচার্য 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪ ০৯:২৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাত পোহালেই লোকসভা ভোটের গণনা শুরু হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা ‘এক্সিট পোল’-এ রাজ্যে বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে দলের কাউন্টিং এজেন্টদের মনোবল না ভাঙে, সে জন্য আসরে নেমেছেন তৃণমূলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দলের তরফে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের গণনাকেন্দ্র রায়গঞ্জ পলিটেকনিক ও ইসলামপুর কলেজে দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কাউন্টিং এজেন্টদের বিভিন্ন নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

অন্য দিকে, গণনায় কারচুপি রুখতে তাদের দলের কাউন্টিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিরোধীদের দাবি। জেলা নির্বাচনী দফতরের দাবি, রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজ ও ইসলামপুর কলেজে সব ঘরে নজর-ক্যামেরা চালিয়ে রেখে গণনা চলবে। ফলে, গণনা নিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠলে কমিশন দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারবে। নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় বাহিনী, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, নজর-ক্যামেরাসহ নানা নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছ ভাবে ভোটগণনা হবে।”

জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, বিজেপি বিভিন্ন সংস্থাকে প্রভাবিত করে লোকসভা ভোটের ‘এক্সিট পোল’ করিয়ে রাজ্যে বিজেপির পক্ষে সমীক্ষার রিপোর্ট তৈরি করেছে। তিনি বলেন, “ইসলামপুর ও রায়গঞ্জ গণনাকেন্দ্রে দলের কাউন্টিং এজেন্টদের সমীক্ষার রিপোর্টকে গুরুত্ব না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের বক্তব্য, “সমীক্ষায় বিজেপিকে এগিয়ে রেখে তৃণমূলের কাউন্টিং এজেন্টদের মনোবল ভেঙে তাঁদের হতাশ করে বিজেপি গণনায় কারচুপি করার কৌশল নিয়ে থাকতে পারে। তাই, জেলায় দলের সমস্ত কাউন্টিং এজেন্টদের সতর্ক থেকে গণনাকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়।”

Advertisement

বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের দাবি, আসলে বেশিরভাগ এক্সিট পোলের সমীক্ষায় রাজ্যে বিজেপি এগিয়ে থাকায় তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা হতাশ। বাসুদেব বলেন, “গত পঞ্চায়েত ভোটের মতো গণনাকেন্দ্রে প্রশাসন ও তৃণমূল যাতে কারচুপি করে তৃণমূলকে জেতাতে না পারে, সে জন্য দলের কাউন্টিং এজেন্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হকের দাবি, তৃণমূলকে জেতাতে গণনায় কারচুপি রুখতে দুই দলের কাউন্টিং এজেন্টদের ইভিএম, ভোটের নথি, প্রাপ্ত ভোটের হিসেব মিলিয়ে দেখা এবং গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত গণনাকেন্দ্র না ছাড়ার প্রশিক্ষণ ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কানাইয়ার পাল্টা বক্তব্য, “পঞ্চায়েত ভোটে ভরাডুবির ব্যর্থতা এড়াতে বিরোধীরা ওই ভোটের গণনায় কারচুপির মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement