বৃহস্পতিবার সিউড়ী প্রশাসন ভবনে এস ইউ সি আই এর দুই প্রার্থী আয়েশা খাতুন ও বিজয় দলুই মিছিল করে এসে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেন। নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার থেকে বীরভূম জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে শুরু হল মনোনয়ন জমা করার প্রক্রিয়া৷ প্রথম দিনেই জেলা প্রশাসন ভবনে মনোনয়ন জমা দিলেন এসইউসি-র দুই প্রার্থী। আরও কয়েক জন প্রার্থী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে নিয়ে গেলেও এ দিন আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি বলে জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে। মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে৷
এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ সিউড়ির মাদ্রাসা রোডের দলের জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল করে জেলা প্রশাসন ভবনে আসেন এসইউসি-র বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী আয়েষা খাতুন এবং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিজয় দলুই৷ প্রশাসন ভবনের বাইরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নিজেদের প্রচারের বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখার পরে মনোনয়ন জমা করতে যান দুই প্রার্থী৷ মনোনয়ন জমা করে বেরিয়ে আয়েষা বলেন, ‘‘বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম বা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা সবার আগে থাকি। তাই মনোনয়নের ক্ষেত্রেও আমরাই সবার আগে থাকলাম। আমাদের বিরুদ্ধে থাকা দলগুলির যতই চমক থাক, সারা বছর লড়াইয়ের ময়দানে আমরাই থাকি।’’
অন্য দিকে, মনোনয়ন প্রক্রিয়া যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তার জন্য নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখছে না জেলা প্রশাসন। কয়েক দিন আগে থেকেই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সিউড়ির জেলা প্রশাসন ভবন চত্বর। প্রশাসন ভবন ঢোকার সব ক’টি রাস্তায় ২০০ মিটার আগে বসানো হয়েছে ড্রপগেট৷ সাধারণের সুবিধার্থে সেগুলি খোলা রাখা হলেও প্রয়োজনে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ আধিকারিকেরা। প্রশাসন ভবনে ঢোকার মুখেই জেলার ইন্টালিজেন্স ব্রাঞ্চের আধিকারিকেরা সকলকে পরীক্ষা করছেন। প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট পরিচয় পত্রও ব্যবহার করতে হচ্ছে সকলকেই।
এ দিন সকালে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রশাসন ভবন চত্বরে আসেন ডিএসপি (আইনশৃঙ্খলা) আখতার আলি, সিউড়ি থানার আইসি দেবাশিস ঘোষ-সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিক। জানা গিয়েছে, আগামী ২২ এপ্রিল বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় এবং জোট প্রার্থী মিল্টন রশিদ মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেন৷ ২৩ এপ্রিল মনোয়ন জমা করতে পারেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর।
সিউড়ি সদরের মহকুমাশাসক সুপ্রতীক সিংহ বলেন, “প্রথম দিনের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা হয়নি। অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে আমি সমস্ত কাগজপত্র দেখে নিচ্ছি। এর পরে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরা জেলাশাসকের কাছে এবং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরা অতিরিক্ত জেলাশাসকের (সাধারণ) কাছে মনোনয়ন জমা করছেন। প্রথম দিন দু’জন মনোনয়ন জমা করেছেন এবং আরও তিন জন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছেন।’’