Lok Sabha Election 2024

নাম না করে ভিক্টরকে তোপ সভায়

চাকুলিয়ার সভার পরে, করণদিঘির কিসানমান্ডির মাঠে কৃষ্ণের সমর্থনে আর একটি সভা করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমকে একযোগে কটাক্ষ করেন মমতা।

Advertisement

মেহেদি হেদায়েতুল্লা , গৌর আচার্য 

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১৪
Share:

করণদিঘির সভায় মমতা। ছবি: গৌর আচার্য।

ভোটের খরচের জন্য আর্থিক সহযোগিতা চাইছেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রম‌্জ (ভিক্টর)। সোমবার উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় প্রাক্তন বিধায়ক ভিক্টরকে তা নিয়ে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে এ দিন চাকুলিয়া শিরসি হাই মাদ্রাসার মাঠের সভায় মমতা ভিক্টরের নাম না করে বলেন, ‘‘তাঁর নাকি টাকা নেই। আমি আমার থেকে সাহায্য করতে পারি। লোকের থেকে আঁচল পেতে টাকা নিচ্ছেন। সব নিজের কাছে রাখবেন।’’ ভিক্টর পাল্টা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে টাকা নেই। এখানকার মানুষ আমায় জেতানোর জন্য সাহায্য করছেন, এটাই তৃণমূলের জ্বালা। মুখ্যমন্ত্রী এখন হতাশা থেকেই এই সব কথা বলছেন।’’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন করণদিঘিতে বলেন, ‘‘বাংলায় কংগ্রেস এবং সিপিএম বিজেপির দুই পাখির দুই চোখ।’’ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যাচার, গুলি চালনা এবং বিজেপির হয়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগও তোলেন মমতা। চাকুলিয়ার সভার পরে, করণদিঘির কিসানমান্ডির মাঠে কৃষ্ণের সমর্থনে আর একটি সভা করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমকে একযোগে কটাক্ষ করেন মমতা। এনআরসি-সিএএ নিয়ে এ দিনও বিরোধিতায় সরব হন তৃণমূল নেত্রী।

বিজেপি মিছিলে-মিটিংয়ে লোক পাচ্ছে না অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘‘ভোটের আগে পার্টি অফিসে ডেকে আপনাকে ৫০০ টাকা দেবে। বাইকে তেল ভরার দেড় হাজার টাকা দেবে। যে দিন ভোট হবে, দেড় হাজার টাকা দেবে। এগুলো চুরির টাকা, পাপের টাকা। নেবেন, (কিন্তু) ভোটের দিন গেঁথে দেবেন।’’ এ দিনও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তাঁকে ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। এই বিষয়ে শুভেন্দুর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল মানেই চোর। উনি (মমতা) রাজ্যে চোর-গুন্ডা তৈরি করেছেন।’’

Advertisement

এই দিন মমতার ওই সভায় চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর এবং ইসলামপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি যথাক্রমে মহম্মদ মোস্তাফা, নুর আহসান ও সাদিকুল ইসলাম তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘দলবিরোধী কাজের জন্য ওই তিন জনকে অনেক আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’

তথ্য সহায়তা: অভিজিৎ পাল

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement