bizarre

অফিসে জুতো পরা বারণ, যততত্র ছড়িয়ে পোষ্যের মল-মূত্র! বসের তুঘলকি আচরণে নাভিশ্বাস কর্মীদের

এক সংস্থায় কাজ করতে হলে কর্মীদের মেনে চলতে হয় বিদ্‌ঘুটে সব নিয়ম কানুন। সংস্থার চাকরিতে যোগ দেওয়ার দু’মাসের মধ্যেই সমাজমাধ্যম রেডিটে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন ২৫ বছরের তরুণী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৫৩
Share:
An employee has revealed the bizarre and toxic rules of office

—প্রতীকী ছবি।

শিব ঠাকুরের আপন দেশে নিয়ম কানুন সর্বনেশে। ঠিক এই অভিযোগ উঠেছে একটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে। সেই সংস্থায় কাজ করতে হলে কর্মীদের মেনে চলতে হয় বিদ্‌ঘুটে সব নিয়ম কানুন। সংস্থার চাকরিতে যোগ দেওয়ার দু’মাসের মধ্যেই সমাজমাধ্যম রেডিটে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন ২৫ বছরের তরুণী। সংস্থার নিয়মকানুন মেনে চলতে গিয়ে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে বলে জানিয়েছেন তিনি। পোস্টের শুরুতে তিনি সংস্থায় কাজের চাপের বর্ণনা দিয়েছেন যে কী ভাবে তাঁকে একা কমপক্ষে দু’জনের কাজের চাপ সামলাতে হচ্ছে।

Advertisement

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মালিকের কড়া নজরদারি। তরুণীর অভিযোগ সিসিটিভির মাধ্যমে অফিসের উপর নজরদারি মগ্ন থাকেন বস্‌।। তিনি তার ফোনে সব সময় অফিসের সিসিটিভি ফিড দেখতে থাকেন। অফিসের মধ্যে কেউ যখন কাজের ফাঁকে কারো সঙ্গে কথা বলতে ওঠেন, তখনই তিনি গ্রুপ চ্যাটে বার্তা পাঠিয়ে জানতে চান সকলে কী করছে। এমনকি সহকর্মীদের একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়ার জন্য বসার ব্যবস্থা পরিবর্তন করার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি অভিযোগ তরুণীর।

এছাড়াও রয়েছে আরও একটি অদ্ভুত নিয়ম। অফিসে কেউ জুতো পরে হাঁটতে পারবেন না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল অফিসে থাকা পোষ্যরা। তরুণী জানান এতে তাঁদের কোনও সমস্যাই নেই। কারণ তাঁরা সকলেই কুকুরগুলিকে ভালবাসেন। সমস্যা হল কুকুরগুলি অফিসের ভিতরে খাওয়ার পর প্রস্রাব, মলত্যাগ ও বমিও করে ফেলে। যেহেতু জুতো পরতে দেওয়া হয় না সে কারণে আরও সমস্যা তৈরি হয় কর্মীদের। কারণ অনেকেই কুকুরের প্রস্রাবে বা বমিতে পা দিয়ে ফেলেন। ওই তরুণীর অভিযোগ তাঁর বস্‌ প্রায়শই ছোটখাটো বিষয়ে কর্মীদের উপর চিৎকার করেন ও পান থেকে চুন খসলেই বেতন কেটে নেওয়ার হুমকি দেন। কোনও স্পষ্ট কারণ ছাড়াই বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মচারীদের আইনি নোটিশ পাঠান বলে অভিযোগ । প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে, তরুণী কর্মক্ষেত্র নিয়ে তাঁর হতাশা গোপন করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি না কত ক্ষণ আমি এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব।’’ তরুণীর এই পোস্টটি সমাজমাধ্যমে ব্যাপকভাবে নজর কেড়েছে। রেডিট বহারকারীরা তাঁদের মতামত এবং পরামর্শ জানিয়ে লেখেন, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্য চাকরি খুঁজে নিন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement