—প্রতীকী চিত্র।
ভোট সামলে ‘পূর্ণ নম্বর’ পেলেন মহিলারা, বলছে প্রশাসন। জলপাইগুড়ির অধিকাংশ ‘মডেল’ বুথে ভোটদানের হার এবং কোনও অভিযোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখে প্রশাসন সূত্রের দাবি, মহিলারা দশে পেলেন দশই। জলপাইগুড়ি জেলায় ১৪৯টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র সামলেছেন মহিলারা। তার মধ্যে ৩০টি বুথে নিরাপত্তারক্ষী থেকে সকলেই ছিলেন মহিলা। সেই বুথগুলিরও ভোটদানের হার গড়পড়তা ৭০ শতাংশের বেশি। প্রশাসনের দাবি, সেই বুথগুলির কোনটি থেকেই অভিযোগ আসেনি।
জলপাইগুড়ির আনন্দ মডেল স্কুলে ভোট পড়েছে প্রায় ৭১ শতাংশ। এই বুথ ছিল মহিলা পরিচালিত। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও ছিলেন মহিলা। জলপাইগুড়ি রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের বুথ বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল। এই বুথটি ছিল ‘থিম’-ভিত্তিক। বেশি ভোটদানে উৎসাহিত করা ছিল ‘থিম’। এই বুথে ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ। শহরের প্রাণকেন্দ্র কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট পড়েছে ৭২ শতাংশের কাছাকাছি। রাজগঞ্জের সরকারি পলিটেকনিক কলেজের মহিলা পরিচালিত বুথে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ও ছিল। ওই বুথের সামনে ছিল নিজস্বী তোলার বন্দোবস্তও। সেখানে একাধিক মহিলা ভোটারকে নিজস্বী তুলতেও দেখা যায় ভোটের দিন।
জেলাশাসক শামা পারভীন বলেন, “প্রায় দেড়শোটি বুথ ছিল মহিলা পরিচালিত। মহিলারা বেশ দাপটের সঙ্গে ভোটের কাজ করেছেন। কোথা থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি। মহিলারা পুরো কর্তৃত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। তা ছাড়া, এই জেলাতেই সার্বিক ভাবে শান্তিতে অবাধ ভোট হয়েছে। ভোটদান সংক্রান্ত কোনও সমস্যা বা অভিযোগ নেই।”
জলপাইগুড়ির কোনও বিধানসভা বা লোকসভা ভোটে এক সঙ্গে এত মহিলা পরিচালিত বুথ হয়নি। প্রশাসনের এটা ছিল প্রথম পরীক্ষা। জেলায় প্রশাসনের যে নির্বাচনী ‘টিম’ , তাতেও মহিলাদের প্রাধান্য বেশি। জেলাশাসক মহিলা, অতিরিক্ত দু’জন জেলাশাসকও মহিলা। মহিলা ভোটকর্মীদের মধ্যে শিক্ষিকাদের সংখ্যা ছিল বেশি। ময়নাগুড়ির এক শিক্ষিকা ভোটকর্মীর কথায়, “বুথে বন্দোবস্ত ভাল ছিল। প্রথম বার ভোটের কাজ করতে গেলাম। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েকবার। কোনও সমস্যা হয়নি।”
‘থিম’ভিত্তিক বুথগুলিকে সাজানো হয়েছিল বিশেষ ভাবে। বুথে ঢোকার আগে তোরণ তৈরি হয়েছিল। নানা রকমের মডেল এবং ‘কাটআউট’ও ছিল। সেগুলি দেখতে পথচারীরাও ভিড় করেছিলেন।