Lok Sabha Election 2024

চলল গুলি, তিন শিশু-সহ আহত ৪

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ছাদের নিকাশি নালার জল রাস্তায় জমা নিয়ে সকাল পাঁচটা নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত।

Advertisement

প্রদীপ ভট্টাচার্য

রানিতলা  শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ০৯:৩৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

নির্বাচন শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের হোসনাবাদ এলাকায় চলল গুলি। ঘটনায় গুরুতর জখম তিন শিশু সহ এক যুবক। তাঁদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ছাদের নিকাশি নালার জল রাস্তায় জমা নিয়ে সকাল পাঁচটা নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। মঙ্গলবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির কারণে বুধবার সকালে রানিতলা থানার হোসনাবাদ গ্রামের দুই প্রতিবেশীর বাড়ির সামনের রাস্তায় জল জমে যায়। সেখান থেকেই বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয় এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছররা গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রানিতলা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই জানান, রানিতলার ঘটনায় মূল আসামি করিমুল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রংও। এ দিন সকালে ঘটনার খবর পেয়ে আহত পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করতে যান বামনেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ বদরুদ্দোজা খান, প্রাক্তন বিধায়ক মহাসিন আলি ও ধ্রুবজ্যোতি সাহা।

Advertisement

বদরুদ্দোজা বলেন, “পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থক ও কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। আজকের ঘটনার পরেও আমাদের এক সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এবং গুলিতে আহতদের নিয়ে যখন হাসপাতাল যাওয়া হচ্ছিল, সেই সময়ও আরও তিন জন সিপিএম কর্মীর উপর আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা।” ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুল রউফ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “যে ব্যক্তি গুলি চালিয়েছে তাকে এলাকার মানুষ চেনে। সে বাম-কংগ্রেস জোটের আশ্রিত দুষ্কৃতী। কিছুটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূল সমর্থিত কয়েকটি পরিবারের উপর এ দিন সকালে তারা হামলা চালায়।”

ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূল সমর্থক জহুরা বিবি অবশ্য দাবি করেন, সিপিএম সমর্থকদের নিজেদের চালানো গুলিতেই নিজেদের পরিবারের শিশুরা আহত হয়েছে। তিনি বলেন, “সিপিএম-এর লোকজন ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের পরিবারের লোকজনদের কয়েকদিন ধরে গালি-গলাজ ও হুমকি দিচ্ছিল। ভোট শেষ হতেই ঘুম ভাঙার আগেই গ্রামে সিপিএম-এর সমর্থকরা গণ্ডগোল শুরু করে এবং গুলি চালায়।” বদরুদ্দোজা পুলিশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করেন, “পুলিশ এখানে নিরপেক্ষ না থেকে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement