এই উদ্বোধনে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও জারি রয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। এর মধ্যেই রবিবার বিকেলে মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের শ্যামনগর গ্রামে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্কে জড়াল পঞ্চায়েত। অভিযোগ, প্রকল্পের উদ্বোধনের অনুষ্ঠান নিয়ে এলাকায় ফ্লেক্স টাঙিয়ে প্রচারও করা হয়েছিল। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির দাবি, আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীন প্রকল্পের উদ্বোধন করা যায় না। কমিশনে অভিযোগ করা হবে।
ওই গ্রামের বারোয়ারিতলায় জেলা পরিষদের সহযোগিতায় বাতিস্তম্ভে সৌর আলো, মেমারি ১ পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় আচ্ছাদন ও দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ঠান্ডা পানীয় জলের যন্ত্র বসানো হয়েছে। রবিবার এই তিনটি প্রকল্পেরই উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (বন ও ভূমি) নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছাড়াও ছিলেন, মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের কর্তারা। গ্রামবাসীর একাংশের দাবি, উদ্বোধন কর্মসূচির প্রচারে গ্রামে যে ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছিল তাতে বিডিও (মেমারি ১)-র নাম থাকলেও অনুষ্ঠানে তিনি আসেননি।
আদর্শ আচরণবিধির মধ্যে প্রকল্পের উদ্বোধন করা হল কেন? জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিত্যানন্দের দাবি, “উদ্বোধন বলা ঠিক নয়। ওই গ্রামের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে আগে থেকেই প্রকল্পগুলি চালু ছিল, সেগুলিও দেখলাম।” স্থানীয় সূত্রের যদিও দাবি, ফ্লেক্সে ২ জুন প্রকল্প উদ্বোধনের কথা ও কারা হাজির থাকবেন তা উল্লেখ করা ছিল। এ দিন ওই ফ্লেক্স নিয়ে শোভাযাত্রাও হয় বলে দাবি তাঁদের। ওই ফ্লেক্সে নাম উল্লেখ থাকা দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিতাই ঘোষের দাবি, “মঙ্গলবার গ্রামের বারোয়ারিতলায় রক্ষাকালী পুজো আছে। তারই প্রস্তুতি দেখতে যাওয়া হয়েছিল। কোনও উদ্বোধন হয়নি। কেউ হয়তো ভুল করে ফ্লেক্স তৈরি করে ফেলেছে।”
বিজেপির মেমারি বিধানসভার আহ্বায়ক, ওই পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শৈলেন বিশ্বাসের অভিযোগ, “এ সব ক্ষমতার আস্ফালন। লোকসভা ভোটের সময়েই কমিশনের বিধি মানছে না তৃণমূল। আসলে ভোট পরবর্তী সমীক্ষা দেখে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। আমরা কমিশনে অভিযোগ জানাচ্ছি।” মহকুমাশাসক (বর্ধমান দক্ষিণ) বুদ্ধদেব পাল বলেন, “মেমারিতে কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।”