এস এম সাদির সমর্থনে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের পথসভা। তেহট্টে। ছবি: সাগর হালদার।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের জোট প্রার্থী সিপিএমের এস এম সাদির সমর্থনে শনিবার নদিয়ায় প্রচারে এলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জোটের বাম প্রার্থীর সঙ্গে তেহট্ট, চাপড়া ও কালীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরলেন নেত্রী। এ দিনের প্রচারে ও জনসভায় বাম কর্মী-সমর্থকেরা ছাড়াও সাধারণ মানুষের ভিড় ও উৎসাহের প্রাবল্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
শনিবার দিনের শুরুতে তেহট্টের হাউলিয়া পার্ক মোড়ে পথসভার আয়োজন করেছিল সিপিএম। ওই পথসভা শেষে প্রার্থী এস এম সাদিকে পাশে নিয়ে, জিপে চড়ে এলাকা ঘুরে রোড-শো করেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী। তেহট্ট হাউলিয়া পার্ক মোড় থেকে শুরু করে, জিতপুর মোড় ও থানার সামনে দিয়ে চাতর পাড়া হয়ে পিডব্লুডি মোড়ে এসে ওই মিছিল শেষ হয়। মিছিলে জোটের সমর্থনে ছাত্র-যুব, কর্মী-সমর্থকেরা ছাড়াও আশেপাশের গ্রামের স্থানীয় মানুষ যোগ দেন। এক সময়ে ওই মিছিলের কারণে জিতপুর পর্যন্ত তেহট্ট-পলাশিপাড়া রাজ্য সড়ক কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
শনিবার তেহট্টের পথসভা থেকে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে জোরালো আক্রমণ করেন মীনাক্ষী। পাশাপাশি, দলের কর্মীদের কাছে নিজের কোমর শক্ত রেখে, নিজের নিজের বুথের ‘লিড’ নিশ্চিত করার আবেদন রাখেন বাম নেত্রী। এ দিন তেহট্টের সভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের নাম না মীনাক্ষীর কটাক্ষ— কেন সংসদে একষট্টি বার কোনও প্রশ্ন করলে তার মধ্যে পঞ্চাশটি প্রশ্নই থাকবে হিরানন্দানিকে নিয়ে। পাশাপাশি, বিজেপিকে আক্রমণ করে মীনাক্ষী বলেন, ‘‘রেল বিক্রি করে দিচ্ছে, কীসের মোদীর গ্যারান্টি? আর ওষুধের দোকানে বিল বাড়ছে!” তেহট্টের পথসভায় বক্তৃতার সময়ে তিনি দেশের, রাজ্যে চাষিদের দুর্দশার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাঁর প্রশ্ন, মোদী-মমতা সকলেই এলেন। কিন্তু চাষিদের শস্য বিমা নিয়ে কেউ এক বারও কথা বলছেন না কেন?
তেহট্টের সভার পরে মীনাক্ষী কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের চাপড়ার নির্বাচনী সভায় যোগ দেন। চাপড়ায় শুরু থেকেই তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। সেখানকার সভা থেকে মীনাক্ষী তৃণমূল নেতা রাজীব শেখের নাম করে আক্রমণ করেন।
এ দিন কালীগঞ্জের সভায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশ কিছুটা দেরিতে এসে পৌঁছান মীনাক্ষী। তার পরেও দলের সমর্থকদের ভিড় ও উচ্ছ্বাসে কোনও কমতি পড়েনি। কালীগঞ্জের সভায় বক্তৃতার সময়ে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তোলেন বাম নেত্রী। তাঁর প্রশ্ন, এত দিন পুলিশ কোথায় ছিল? ওই ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি দু’জনের সমালোচনা করেন। একইসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মীনাক্ষীর অভিযোগ— ওই শিক্ষকদের চাকরি চলে যাওয়া দায় আসলে রাজ্য সরকারের।