—প্রতীকী চিত্র।
রাত পোহালেই দেড় মাস ধরে লড়াইয়ের ফল প্রকাশ। তার আগে গণনা কেন্দ্রের এজেন্টদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নির্দেশ দিলেন বীরভূম জেলা বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।
রবিবার দিনভর দফায় দফায় সকাল এবং বিকেলে গণনা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিয়মাবলী যথাযথ ভাবে মেনে চলারও পরামর্শও দেওয়া হয়।
রবিবার সকালে রামপুরহাটে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে জেলার বীরভূম কেন্দ্রের অধীন রামপুরহাট, হাঁসন, নলহাটি ও মুরারই— চারটি বিধানসভার গণনাকেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বিকেলে সিউড়িতে সাঁইথিয়া, সিউড়ি ও দুবরাজপুর— এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের গণনাকেন্দ্রের এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীন বোলপুর, লাভপুর, নানুর ও ময়ূরেশ্বর— চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনায় অংশগ্রহণকারী দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বোলপুরে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে।
সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীন পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম, আউসগ্রাম ও মঙ্গলকোট এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মীদের সেখানকার দলীয় নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।’’ বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট, সিউড়ি ও বোলপুর— এই তিন জায়গাতেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দলীয় কর্মীদের গণনা কেন্দ্রের ভিতরে নির্বাচন কমিশনের নিয়মাবলী মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে নজরদারি চালানোর ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ বলেন, ‘‘যাঁরা নির্বাচনে গণনার বিষয়ে দক্ষ, এ রকম কর্মীদেরই বাছাই করা হয়েছে। গণনার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রের ভিতরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
এ দিন রামপুরহাটের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর চক্রবর্তী ও সঞ্জীব বর্মণ উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ নিতে আসা দলীয় কর্মীদের প্রথমে নির্বাচন কমিশনের গণনা সংক্রান্ত নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা করেন সঞ্জীব বর্মণ। পরবর্তীতে দলীয় কর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দেন দীপঙ্কর চক্রবর্তী। সঞ্জীব বলেন, ‘‘এজেন্টরা যাতে ধৈর্য ধরে মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভিতরে নকল এজেন্ট আছে কি না বা কোনও কারচুপি হচ্ছে কি না সে ব্যাপারেও নজর দিতে বলা হয়েছে।’’ তিনি জানান, গণনা কেন্দ্রের ভিতরে এমন কোনও আচরণ যাতে দলীয় কর্মীরা না করেন যাতে তাঁদের কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসতে হয় সেই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।