নির্মল সাহা (বাঁ দিকে), ইউসুফ পাঠান (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। প্রতিদিন একে অপরের দলের বিরুদ্ধে নানা কথা বলছেন। আর সেই যুযুধান দু’পক্ষ একই জায়গা মিলিত হলেন। কথা হল দু’দলের প্রার্থীর মধ্যে। তাঁরা দু’জন একে অপরের জন্য শুভকামনা জানালেন। তাঁরা হলেন বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান এবং বহরমপুরের বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা।
সোমবার দুপুরে বহরমপুরে জেলাশাসকের চেম্বারের বিপরীতে থাকা ‘ভিজিটর্স রুমে’ এমন সৌজন্যের সাক্ষী থাকলেন তৃণমূল ও বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলার নেতারা। এ দিন প্রথমে জেলাশাসকের চেম্বারে বহরমপুর কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। পরে আসেন বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা। দুই প্রার্থীর সঙ্গে ভিজিটর্স রুমে তখন দুই দলের জেলার নেতা ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তখন দুই দলের নেতারা যেমন একে অপরের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। তেমনই দুই দলের দুই প্রার্থীরাও নিজেদের মধ্যে কথা বলেন।
পরে ইউসুফ বলেন, ‘‘এ দিন বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁকে শুভকামনা জানিয়েছি। উনিও আমাকে শুভকামনা জানিয়েছেন।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘আমরা যখন মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য জেলাশাসকের চেম্বারের বিপরীতে থাকা ভিজিটর্স রুমে পৌঁছই তখন সেখানে তৃণমূলের জেলার নেতারা ছিলেন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। আমাদের দলের প্রার্থী ও তৃণমূলের প্রার্থীর মধ্যে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হয়েছে।’’
সোমবার দুপুরে বহরমরপুরে জেলা তৃণমূল কার্যালয় থেকে তৃণমূল প্রার্থী মিছিল করে জেলা প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন দিতে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা দলের বিধায়ক অপূর্ব সরকার, রবিউল আলম চৌধুরী, হুমায়ুন কবীর, সাহিনা মমতাজ খান, হাসানুজ্জামান, সাংসদ আবু তাহের খান, সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা, বহরমপুরের পুরপ্রধান নাডুগোপাল মুখোপাধ্যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লেখা কলসি হাতে মহিলারা সেই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন। এদিন ১৪৪ ধারা ভেঙে তৃণমূলের হাজার খানেক কর্মী সমর্থক জেলা প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে জেলা প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন বহরমপুরের বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা। মাঝপথে তাঁদের মিছিল কিছু ক্ষণের জন্য আটকে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন বিজেপির নেতাকর্মীরা। পরে অবশ্য মিছিল করে তাঁরা জেলা প্রশাসনিক ভবনে পৌঁছন। নির্মল সাহার একপাশে বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র এবং অন্য পাশে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার। নির্মলবাবুর মনোনয়ন জমা দেওয়ার মিছিলে ভিড় ছিল।