দফতরে ঢুকে গোলমাল। ছবি: নির্মল বসু
তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেআইনি নথি তৈরি করে জমি-বাড়ি দখল করছে, বিষয়টি জানা সত্ত্বেও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর নীরব—এই অভিযোগে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা জুতো ও ফুলের মালা নিয়ে বসিরহাটের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখালেন বুধবার। চলে ভাঙচুরও। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ভাঙচুরের অভিযোগ মানেনি কংগ্রেস।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরেই নকল জমির কাগজ দেখিয়ে গরিব মানুষের জমি দখল করছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিক বার অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। উল্টে, দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। বসিরহাট শহরে পুকুর বুজিয়ে বড় বাড়ি হচ্ছে, অথচ নিরুত্তাপ সংশ্লিষ্ট দফতর— এমন অভিযোগও তুলছেন আন্দোলনকারীরা।
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ কংগ্রেস নেতা অমিত মজুমদার, হিরন্ময় দাস, আব্দুল কাদের সর্দারের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী-সমর্থক দলীয় পতাকা, ফেস্টুন, মাইক নিয়ে মিছিল করে বসিরহাট মহকুমাশাসকের কাছে দশ দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন। পরে তাঁরা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে মিছিল করে আসেন। অভিযোগ, হুড়মুড়িয়ে দফতরের মধ্যে ঢুকে বিক্ষোভ, ভাঙচুর করা হয়। দফতরের আধিকারিক চিন্ময় কর এলাকা থেকে বেরিয়ে যান। তাঁকে সামনে না পেয়ে মালা পরানোর চেষ্টা চলে এক আধিকারিককে। দফতরের আপার ডিভিশন ক্লার্ক ভবানীশঙ্কর মণ্ডল বলেন, ‘‘আধিকারিক না থাকায় আমি স্মারকলিপি নিয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’’ চিন্ময়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মনসুর আলি মোল্লা, ভবেশ মাহাতোরা বলেন, ‘‘নকল দলিল দেখিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের জমি কেড়ে নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করছে। আমরা বড় রাস্তার পাশে প্লাস্টিকের তলায় দিন কাটাচ্ছি। সব জেনেও বিএলআরও কোনও পদক্ষেপ করছেন না।’’
অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে তৃণমূলের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কারা কাদের জমি দখল করছে, সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে বলতে পারি, ভোটের মুখে হাওয়া গরম করতে পথে নেমেছে কংগ্রেস।’’