বোলপুরে কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএমের প্রার্থী শ্যামলী প্রধানের সমর্থনে পদযাত্রা।রবিবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
অনুব্রত মণ্ডলের মতো জেলার আরও কয়েক জন তৃণমূল নেতাকে জেলে ঢোকাতে হবে। রবিবার কংগ্রেস সমর্থিত বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধানের প্রচারে এসে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ। পাশাপাশি, ডেউচা-পাঁচামি খোলামুখ খনি প্রকল্পে আদিবাসীদের জমি লুটের অভিযোগও তোলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রত যেমন তিহাড় জেলে আছেন, এখানেও যাঁরা লুটে করছেন, তাঁদের প্রত্যেককে জেলে ঢোকাতে হবে।’’ যদিও এটা সিপিএমের মানুষের মনে থাকার চেষ্টা বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তবে কনীনিকার দাবিকে সমর্থন করেছে বিজেপি। জেলার তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে ইতিমধ্যেই প্রচার সেরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাঁসনের সভা মঞ্চ থেকে ভোটের পরে অনুব্রতকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন সেই অনুব্রত নিয়েই সুর চড়ান কনীনিকা।
এ দিন শ্যামলীকে নিয়ে বেলার দিকে বোলপুর রেল ময়দান থেকে একটি পদযাত্রা শুরু করে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। শহর ঘুরে বকুলতলায় পদযাত্রাটি শেষ হয়। সেখানেই পথসভা থেকে তৃণমূল ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন কনীনিকা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন তিনি।
পাশাপাশি, সভা থেকে কনীনিকা আশ্বাস, “বামপন্থীরা যদি ক্ষমতায় আসে তা হলে আরও বেশি টাকা মহিলারা যাতে পান, তার ব্যবস্থা করবে সরকার। শুধু তাই নয়, মহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হবে।” কনীনিকা ছাড়াও এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্যনেত্রী অঞ্জু কর, পারমিতা সেন, সংগঠনের জেলা সম্পাদিকা কেনিজ রবিউল ফাতেমা।
পাল্টা রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “ওদের লোক নেই। তাই এই সমস্ত কথা বলে মানুষের মনে থাকার চেষ্টা করছে।” যদিও বিজেপি বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরাও চাই অনুব্রতের ছত্রছায়ায় যাঁরা বেড়েছেন, যাঁদের এত প্রতিপত্তি, তাঁরাও গ্রেফতার হোন।’’