সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব হরিমাধব মুখোপাধ্যােয়ের বাড়িতে চা-আড্ডায় ব্রাত্য বসু। নিজস্ব চিত্র।
নাটকের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে ছ’দিন কাটিয়ে কলকাতায় ফিরলেন বালুরঘাট আসনের তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একাধিক গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনার ফাঁকে দেখাও করেন নাট্যব্যক্তিত্ব হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
ভোট ঘোষণার পর থেকেই জেলা তৃণমূলে অন্তত আড়াইশোটি কমিটি বদলে ফেলা নিয়ে টানাপড়েন ছিল। তপনে মুখ্যমন্ত্রী এসে সব গোষ্ঠীকে এক হয়ে চলার বার্তা দিয়ে যান। তা-ও কেন ব্রাত্যকে হস্তক্ষেপ করতে হল? দলীয় সূত্রে দাবি, বালুরঘাট আসনে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হিসেবে বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রাত্য। প্রচারে থেকেছেন, প্রচার করেছেন। দলীয় প্রার্থী জেতাতে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, সেই চেষ্টা করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
জেলায় তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের বিরোধী শিবিরের নেতারা কিছু দিন হল সভাগুলিতে সক্রিয়। কিন্তু তাঁরা কি নিজ নিজ পরিসরে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন? ব্রাত্যর সঙ্গে দেখা করেন বিপ্লব-বিরোধী শিবিরের নেতা তোরাফ হোসেন মণ্ডল। তোরাফ বলেন, ‘‘প্রার্থী নিজের ঘুঁটি সাজিয়ে চলছেন। আমরা যতটা পারছি তাঁকে সাহায্য করছি। কুমারগঞ্জ থেকে দলকে লিড দেব।’’ দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস বলেন, ‘‘ব্রাত্যদা এক হয়ে চলতে বলেছেন। তাঁকে বলেছি, মিছিল-মিটিংয়ে অসুবিধে নেই। যেটুকু পরিসর পেয়েছি, কাজ করছি। সমন্বয় আর একটু ভাল হতে পারত। প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টা করা হবে।’’ মৃণাল সরকার বলেন, ‘‘জেলা পরিষদ আসনে আমাকে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। তবে প্রার্থীকে জেতাতে কোনও চেষ্টা বাদ রাখব না।’’
ব্রাত্যের উপলব্ধি, মুখ্যমন্ত্রী এসে বলার পর দলে গোষ্ঠী-সমস্যা কমেছে। তিনি বলেন, "আমিও সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। কিছুটা কাজ হয়েছে। আগের চেয়ে দল ঐক্যবদ্ধ।’’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের রোড-শো ছাড়া, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনকে নিয়ে বসেন ব্রাত্য। তিনি ওয়েবকুপার সভায়ও যোগ দেন।
কাজের ফাঁকে এক দিন ব্রাত্য দেখা করতে যান সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে সস্ত্রীক চায়ের আড্ডায় মাতেন হরিমাধব। হরিমাধব বলেন, ‘‘ব্রাত্যের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। বালুরঘাটে এলেই আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে ও।’’ এই সাক্ষাৎকার রাজনীতির বাইরেই রাখতে চেয়েছেন ব্রাত্য।