সন্দেশখালির সভায় বিজেপি নেতারা। সঙ্গে বসিরহাটের প্রার্থী রেখা পাত্র। নিজস্ব চিত্র।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা রবিবার সন্দেশখালির জেলিয়াখালির সভা থেকে এ রাজ্যের সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন।
হিমন্তের কথায়, ‘‘অসম পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক ছোট রাজ্য। এখানে অনেক সম্পদ আছে। কিন্তু মমতা দিদির তুষ্টিকরণের জন্য উন্নতি হচ্ছে না। এখন অসমের বেশি উন্নতি হচ্ছে এই রাজ্যের থেকে। এখানেও উন্নতি হবে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় এলে।’’
অসমের তুলনায় এ রাজ্যে পেট্রলের দাম বেশি বলে জানিয়ে হিমন্ত সে ক্ষেত্রে তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল সকলের রক্ত শুষে খাচ্ছে।’’
এ রাজ্যে সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও অসমের তুলনা টেনেছেন হিমন্ত। বলেন, ‘‘এখানে ডিএ ১৪ শতাংশ, আর অসমে ৫০ শতাংশ। এখানে সরকারি কর্মচারীদের বেতন অনেক কম মিলছে অসমের তুলনায়।’’
শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যে শিক্ষকের চাকরির জন্য লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়। অসম সহ বিজেপিশাসিত অন্য রাজ্যে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে স্বচ্ছ ভাবে সরকারি চাকরি মিলছে।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এখানে বিনামূল্যে গুন্ডামি মেলে আর অসমে বিনামূল্যে সরকারি চাকরি মেলে।’’
সন্দেশখালির বিধায়ক তৃণমূলের সুকুমার মাহাতো পরে এ সবের জবাবে বলেন, ‘‘তৃণমূল মানুষের রক্ত শুষে খায় না, মানুষের রক্ত ঝরায় না। কিন্তু বিজেপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে রক্ত ঝরাতে চেষ্টা করছে এই রাজ্যে। দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’’
সভা শেষে বিজেপিশাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা যায়, ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি। তা শুনে দলের কর্মীরা কিছুটা বিস্মিত হন। তবে কর্মী-সমর্থকদের এই ধ্বনিতে গলা মেলাতে দেখা যায়নি।
রবিবার মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইতের সমর্থনে পাথরপ্রতিমার রামগঙ্গায় জনসভা করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘ত্রিপুরায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকার বদল হয়েছিল। পশ্চিমবাংলাতেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকার বদল হবে।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এ রাজ্যে বাম সরকারের যা যা কুকর্ম ছিল, তার একেবারে কার্বন-কপি এই তৃণমূল সরকার।’’
পাথরপ্রতিমা ব্লকের তৃণমূল বিধায়ক সমীরকুমার জানা পরে বলেন, ‘‘বিজেপি চাকরি দেওয়ার বদলে খেয়ে নিচ্ছে, আর তৃণমূল চাকরি দেওয়ার পক্ষে। এই ভাবে সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না।’’