Lok Sabha Election 2024

‘ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান’, কাজ শুরুর ঘোষণা অভিষেকের

দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা ওই প্রকল্প রূপায়িত হলে শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল নয়, হুগলির আরামবাগ মহকুমার পশ্চিম এবং দক্ষিণের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বানভাসি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আমতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:০১
Share:

বক্তব্য পেশ করছেন অভিষেক। আমতায়। নিজস্ব চিত্র

‘ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান’ রাজ্যই রূপায়িত করবে বলে মাস দুয়েক আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫০০ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের কাজ রাজ্য শুরু করে দেবে বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

সোমবার হাওড়ার আমতার বাকসিতে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে এক জনসভায় এসে ওই ঘোষণা করেন অভিষেক। হাওড়া জেলার নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা বলতে গিয়ে অভিষেক বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজের কথাও বলেন। সেই প্রসঙ্গেই তোলেন ‘ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানে’র কথা। তিনি বলেন, ‘‘ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানে ৬০ শতাংশ টাকা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। কিন্তু সেই টাকা কেন্দ্র দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী ফেব্রুয়ারি মাসে বলেছিলেন, কেন্দ্র টাকা না দিলেও রাজ্য নিজেই টাকা দেবে। ১৫০০ কোটি টাকায় আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য কাজ শুরু করে দেবে।’’

দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা ওই প্রকল্প রূপায়িত হলে শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল নয়, হুগলির আরামবাগ মহকুমার পশ্চিম এবং দক্ষিণের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বানভাসি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন। তাঁদের বক্তব্য, বাঁকুড়ায় বেশি বৃষ্টি হলে দ্বারকেশ্বর নদ বা কংসাবতী নদী থেকে গড়ানো জল আমোদর ও তারাজুলি খাল উপচে গোঘাটের দু’টি ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভাসায়। নীচে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের শিলাবতী এবং ঝুমি নদীর জলের চাপ সেই জল নামতে দেয় না। গোঘাটের দু’টি ব্লক ছাড়াও আরামবাগের সালেপুর ১ ও ২ অঞ্চল এবং খানাকুল ২ ব্লকের ধান্যগোড়ি, জগৎপুর, মাড়োখানা এবং খানাকুল ১ ব্লকের ঘোষপুর ও ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েত এলাকা ভাসায়।

Advertisement

প্রকল্পের সূচনায় দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে আরামবাগ মহকুমার খানাকুল-গোঘাট এবং আরামবাগের বেশ কিছু এলাকা ধরা থাকলেও ২০১১ সালে আরামবাগ মহকুমাকে প্রকল্পের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়। জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের নতুন মাস্টারপ্ল্যানে আরামবাগ বাদ গেলেও পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলাবতী এবং ঝুমি নদীতে কাজ হলে আরামবাগ মহকুমার একটা অংশ সুফল পাবে। ওই দুই নদীর জল ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়লে এখানকার জল দ্রুত নামবে।

তৃণমূলের হাওড়া (গ্রামীণ)
জেলা সভাপতি অরুণাভ সেন
বলেন, ‘‘ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তো ঘোষণা করেছিলেন যে কেন্দ্র টাকা না দিলে রাজ্য নিজের টাকাতেই কাজ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণাই দলের
তরফে জানিয়ে দিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement