পাঁচলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
উলুবেড়িয়ায় তৃণমূল জিতলে এই লোকসভা কেন্দ্রের উন্নয়নের দায়িত্ব তিনি নিজে নেবেন বলে ঘোষণা করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
শনিবার পাঁচলা মোড়ে একটি ক্লাবের মাঠে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে জনসভা করতে এসে অভিষেক বলেন, ‘‘আপনারা সাজদা আহমেদকে জেতান। কথা দিচ্ছি, উলুবেড়িয়ার সার্বিক উন্নয়নের দায়িত্ব তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমি নিজের কাঁধে নেব।’’
সাজদাকে নিয়ে বিরোধীরা তো বটেই, শাসকদলের একাংশের মধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, আগে সাংসদ হয়েও তিনি এলাকায় সময় দেননি। মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না। সাজদা এ অভিযোগ কখনও মানেননি। কিন্তু এ দিন অভিষেকের ওই ঘোষণায় ফের একবার ওই অভিযোগই তুলেছে বিজেপি।
বিজেপি নেতা রমেশ সাধুখাঁ বলেন, ‘‘সাংসদের ব্যর্থতার কথাই তো তাঁর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক স্বীকার করে নিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার এই চেষ্টায় সাধারণ মানুষের আখেরে কোনও লাভ হবে কি?’’
তৃণমূলের কোনও নেতা বা পদাধিকারী অবশ্য অভিষেকের ঘোষণা নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে চাননি। তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা মানছেন, সাজদার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল, অর্থাৎ, গতবার জেতার পরে তিনি এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি, সেটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন নয়। তাঁরা মনে করছেন, সেই খবর হয়তো অভিষেকের কাছেও গিয়ে থাকবে। তাই তিনি এ দিন ওই ঘোষণা করলেন। তাঁদের আরও বক্তব্য, এতে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে বসবাসকারী মানুষজনেরউপকারই হবে।
সাজদা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার অভিভাবক।’’
এ দিন সাজদার প্রসঙ্গে তাঁর স্বামী, এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন ও প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদের কথাও তোলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘সুলতান ছিলেন এই এলাকার প্রাণের মানুষ, কাছের মানুষ।’’
তবে, অভিষেকের বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে ছিল বিজেপির সমালোচনা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের ন্যায্য পাওনা আটকে দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘‘ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে আমরা রাজ্যের সমস্ত পাওনা আদায় করে আনব।’’ বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূল শাসিত রাজ্য সরকার হিসাব দেয়নি বলেই কেন্দ্র টাকা আটকেছে।