ছবি: পিটিআই ।
লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় চার কেন্দ্র মিলিয়ে বিকেল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ৪৩৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। দলগত ভাবে অভিযোগ জমা পড়েছে ২৫৩টি। যার মধ্যে সিপিএমের অভিযোগ সব থেকে বেশি, ১৬৩টি। কংগ্রেস ২৯টি, তৃণমূল ১৮টি এবং বিজেপি ২৭টি অভিযোগ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত মালদহ উত্তরে ভোট পড়েছে ৭৩.৩০ শতাংশ। মালদহ দক্ষিণে ভোট পড়েছে ৭৩.৬৮ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৭২.১৩ শতাংশ এবং ওই সময়ের মধ্যে মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৭৬.৪৯ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের চার কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। ভগবানগোলা উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৩.৬৮ শতাংশ।
স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিলেন গায়ক অরিজিৎ সিংহ। মঙ্গলবার দুপুরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন তিনি। স্ত্রী কোয়েলকে সঙ্গে নিয়ে প্রীতম সিংহ প্রাইমারি স্কুলে ২৬ নম্বর বুথে ভোট দিলেন অরিজিৎ। পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরেই তিনি বাড়ি ফিরেছেন।
বিভিন্ন জনের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোট দিচ্ছিলেন তিন যুবক। বার বার বারণ করা সত্ত্বেও কথা না শোনায় তিন যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সুতির ছাবঘাটী কেডি বিদ্যালয়ের ঘটনা। এ ছাড়াও শমসেরগঞ্জ বিধানসভার নিমতিতা অঞ্চলে কংগ্রেস কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোট দিতে ক্যাম্পে এসে বসেছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। সেই সময় তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। মোট ৩ জন আক্রান্ত। তাঁদের ধুলিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আক্রান্ত কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে আসেন কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী।
লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় চার কেন্দ্র মিলিয়ে বিকেল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ৩৬১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। দলগত ভাবে অভিযোগ জমা পড়েছে ২১৭টি। যার মধ্যে সিপিএমের অভিযোগ সব থেকে বেশি, ১৫৩টি। কংগ্রেস ২৫টি, তৃণমূল ১৭টি এবং বিজেপি ১০টি নালিশ করেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
মালদহ দক্ষিণের অন্তর্গত সুজাপুরের নয়মৌজা জুনিয়ার গার্লস হাই মাদ্রাসার একটি বুথ থেকে বার করে তৃণমূল এজেন্ট-সহ তিন তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয় তাঁদের। আহতদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মালদহ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রাইহান।
অন্য দিকে, মালদহ দক্ষিণের শমসেরগঞ্জের জোতশালীর ১২৫ এবং ১২৬ নম্বর বুথে অশান্তি বাধানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোট দিতে আসা বৃদ্ধ কংগ্রেস সমর্থকের পা ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। শমসেরগঞ্জের হীরানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১৯ নম্বর বুথেও কংগ্রেসের উপর হামলার অভিযোগ। রোমি শেখ, জাভা শেখ নামে দুই এজেন্টের মাথা মেরে ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তাঁদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
দুপুর ৩টে পর্যন্ত মালদহ উত্তরে ভোট পড়েছে ৬১.৫০ শতাংশ। মালদহ দক্ষিণে ভোট পড়েছে ৬২.৯০ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৬২.৫৭ শতাংশ এবং ওই সময়ের মধ্যে মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৬৫.৪০ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বেলা ৩টে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের চার কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৬৩.১১ শতাংশ। ভগবানগোলা উপনির্বাচনে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬১.১৮ শতাংশ।
মালদা উত্তরের হবিপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২২ নম্বর বুথে ভোট বয়কট করলেন মহিলারা। সড়ক এবং সেতু তৈরির দাবি তুলে ভোট বয়কটের ডাক দেন তাঁরা। রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানান। ওই বুথে ১৩৫০ ভোটার রয়েছেন। ভোট বয়কট করার কারণে সকাল থেকে ৩টে পর্যন্ত একটিও ভোট পড়েনি ওই বুথে।
হরিহরপাড়া নাজিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫৯ নম্বর বুথে এক ভোটারের ভোট দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভোটদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে ভোটারদের। এই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার সেলিম রেজা বিশ্বাসও। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য কালু শেখ। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশবাহিনী।
বোমা মারার হুমকি দিয়ে বিজেপির সহায়তা ক্যাম্প তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার চাঁচল বিধানসভার মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমসাডাঙী ২২১ নম্বর বুথের ঘটনা। ক্যাম্প তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবু সরকারের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মী শঙ্কর দাসের অভিযোগ, বুথ থেকে এক কিলোমিটার দূরে বটগাছের তলায় ক্যাম্প করেছিলেন তাঁরা। তখনই বাবু সদলবলে এসে বোমা মারার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। অন্য দিকে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তৃণমূল নেতা বাবুর।
বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে গো ব্যাক স্লোগান। অভিযোগ, মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের ইংরেজবাজার পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ধীরেন সাহা স্কুলে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে তাঁকে দেখে এই স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা।
দুপুর ১টা পর্যন্ত মালদহ উত্তরে ভোট পড়েছে ৪৭.৮৯ শতাংশ। মালদহ দক্ষিণে ভোট পড়েছে ৪৮.৬৫ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৪৯.৯১ শতাংশ এবং ওই সময়ের মধ্যে মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৫০.৫৮ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বেলা ১টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের চার কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৪৯.২৭ শতাংশ। ভগবানগোলা উপনির্বাচনে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৬.৪০ শতাংশ।
মুর্শিদাবাদের ডোমকল সেখালিপাড়া বিএসএমএম হাই স্কুলে ১৫৩ নম্বর বুথে বাম-কংগ্রেস জোটের কর্মী-সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীরা ডোমকল থানার পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাম-কংগ্রেস জোটের ভোটারদের ভোট দিতে সাহায্য করে।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ৭৩ নম্বর রমনা বসন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭০ এবং ১৭১ নম্বর বুথেও স্থানীয় ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় অশান্তি অব্যাহত মুর্শিদাবাদে। চার কেন্দ্র মিলিয়ে ১১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ২৯৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। দলগত ভাবে অভিযোগ জমা পড়েছে ১৭৪টি। যার মধ্যে সিপিএমের অভিযোগ সব থেকে বেশি, ১৩৪টি। কংগ্রেস ১৭টি এবং তৃণমূল এবং বিজেপি ৬টি করে অভিযোগ করেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
ভোট দিলেই ডিম-ভাতের ব্যবস্থা কংগ্রেস কর্মীদের! খড়গ্রাম বিধানসভার ইন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৭ এবং ৭৮ আসলপুর বুথে ভোট দিলেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভোটারদের জন্য দেওয়া হচ্ছে চা-বিস্কুট, মুড়ি, ঘুগনি। দুপুরে ভোট দিতে আসা ভোটারদের জন্য থাকছে ডিম-ভাত।
এই প্রসঙ্গে খড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক আশিস মারজিৎ বলেন, “কংগ্রেস পালে হাওয়া পাচ্ছে না। বিভিন্ন বুথে কংগ্রেসের এজেন্ট থাকছে না। কর্মীদের ঘুগনি খাওয়ানোর জন্য যে রান্না করেছিল সেটা ভোটারদের বিলি করছে। ওদের এই পরিকল্পনা কোনও দিনই কাজে আসবে না।”
অন্য দিকে, সুতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘুগনি–মুড়ি দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
বেলা ১১টা পর্যন্ত মালদহ উত্তরে ভোট পড়েছে ৩১.৭৩ শতাংশ। মালদহ দক্ষিণে ভোট পড়েছে ৩৩.০৯ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৩৩.৮১ শতাংশ এবং ওই সময়ের মধ্যে মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৩২.৭২ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বেলা ১১টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের চার কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৩২.৮২ শতাংশ। ভগবানগোলা উপনির্বাচনে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৯.৩৯ শতাংশ।
করিমপুরে শুভরাজপুরের ৩৫ নম্বর বুথ জ্যামের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
মালদহ দক্ষিণের মোথাবাড়ির হামিদপুরে অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে এবং ভোটারদের প্রভাবিত করে বিজেপিকে ভোট দিতে বাধ্য করছেন বাহিনীর জওয়ানেরা।
মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের ৭৩ নম্বর রমনা বসন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭০ ও ১৭১ নম্বর বুথে ভোটারদের ভোটদানে বাধা। মারধর করা হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভোটারদের।
মুর্শিদাবাদের গোপীনাথপুরে ৩৬ নম্বর বুথে এক ভুয়ো এজেন্ট ও ভোটারকে হাহেনাতে ধরে ফেলেন বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। এর পর গ্রামের ভিতর ঘুরে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। ভোটারদের আশ্বস্ত করেন ভোট দিতে যাওয়ার জন্য। তবে তার পরও অশান্তি থামানো যায়নি। সিপিএম প্রার্থী কিছুটা যেতেই তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক স্লোগান’ ওঠে। তৃণমূল কর্মীদের একাংশ এই স্লোগান দেন।
ভুয়ো এজেন্টকে হাতেনাতে ধরার পর মহম্মদ সেলিম বলেন, “ফর্ম চুরি করে বাম এবং নির্দলের এজেন্টকে মেরে অন্য লোক বসে আছে। এই চুরিটা প্রথম শুনলাম। গ্রেফতার করতে বলছি, কিন্তু সেক্টর অফিসার গ্রেফতার করছেন না।”
পাশাপাশি, হিটলার সরকার নামে এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, সেলিম তাঁকে মারধর করেছেন। তাঁর কথায়, “মহম্মদ সেলিম আমায় মেরেছেন। আমার কলার ধরে টেনেছেন। ওঁকে গ্রেফতার করতে হবে। সাংবাদিকদের সামনে গায়ে হাত তুলেছেন। আমি মিথ্যে বলছি না।”