—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দেশজুড়ে ঘোষিত প্রকল্পের শিলান্যাসে জোর দিয়েছে রেল। এবার একযোগে প্রায় ১,১০০ কোটি টাকার প্রকল্পে রেল স্টেশনের মানোন্নয়নের সঙ্গে রেল সেতুর শিলান্যাস করতে চলেছে খড়্গপুর রেল ডিভিশন।
আগামীকাল সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের সঙ্গে একযোগে খড়্গপুর ডিভিশনেও শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আয়োজন হতে চলেছে। শনিবার খড়্গপুর রেল ডিভিশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ওই অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরেন খড়্গপুরের ডিআরএম। জানানো হয়, ওই দিন দেশের ৫৫৪টি স্টেশনে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের শিলান্যাস করা হবে। সেই সঙ্গে ১ হাজার ৫০০টির বেশি রেল ওভারব্রিজের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করার কথা জানিয়েছে রেল। দেশের প্রায় ২ হাজার ১০০টি জায়গায় হবে সেই অনুষ্ঠান। একযোগে পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মাধ্যমেও ২২টি স্টেশনের অমৃত ভারত প্রকল্পের কাজের সূচনা হবে। সঙ্গে হবে ৪১টি রেল সেতুর শিলান্যাস। সেই তালিকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্টেশন রয়েছে খড়্গপুর ডিভিশনের। এই ডিভিশনের অধীনে থাকা পশ্চিমবঙ্গের ১৫টি স্টেশনে অমৃত ভারত প্রকল্পের কাজের শিলান্যাস করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে ওই ডিভিশনের ৫টি রেল সেতুর শিলান্যাস ও খড়্গপুরের নবনির্মিত টাউন থানা রেল সেতুর উদ্বোধনও হবে।
খড়্গপুরের ডিআরএম কে আর চৌধুরী বলেন, “আমরা সেই অনুষ্ঠানে নিয়ম মেনে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। রেল প্রশাসন থেকে রাজ্য প্রশাসনের সব আধিকারিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যেখানে বহু সাধারণ মানুষের যোগদান থাকবে বলে আশা করছি।”
সাংবাদিক বৈঠকে আরও জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে খড়্গপুর ডিভিশনের অধীনে খড়্গপুর, হিজলি, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মেচেদা, দিঘা, তমলুক-সহ যে ১৫টি স্টেশন রয়েছে তাতে ৫০২ কোটি টাকা খরচ করে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে মানোন্নয়ন হবে। ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রেল সেতু নির্মাণ করা হবে। আবার খড়্গপুর ডিভিশনের অন্তর্গত ওড়িশার বালেশ্বর-সহ ৩টি স্টেশনে ২১১ কোটি টাকা খরচ করা হবে। সঙ্গে ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে রেল সেতু। তবে খড়্গপুর ডিভিশনের অধীনে থাকা ঝাড়খণ্ড রাজ্যে কোনও স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পে মানোন্নয়ন হচ্ছে না। দু’টি ছোট সেতুর জন্য ওই রাজ্যে ৫ কোটি টাকার কাজ হবে।
তবে খড়্গপুর রেল স্টেশনে যে জন ঔষধি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে তা এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধন হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। ডিআরএম বলেন, “আমরা ওই জন ঔষধি কেন্দ্র খুব শীঘ্র চালু করব। আসলে যে এজেন্সি বরাত পেয়েছে তারা রাজ্যের কাছে ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানিয়েছে। তাতে একটু দেরি হচ্ছে। তবে আশা করছি দেশের অন্য বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই ওই প্রকল্পেরও উদ্বোধন হয়ে যাবে।”